ঢাকা: নীল-সাদা চেকের পলিথিনের ব্যাগ কেটে বানানো আর্জেন্টাইন দলপতি লিওনেল মেসির জার্সি গায়ে ইন্টারনেট আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাড়া ফেলে পাঁচ বছরের আফগান শিশু মুরতাজা আহমাদি। মেসিভক্ত এই শিশু এবারে আর্জেন্টাইন দলপতির সত্যিকারের জার্সি গায়ে জড়িয়েছে।
মেসির স্বাক্ষর করা ‘দশ নম্বর’ জার্সি মুরতাজাকে পাঠিয়েছে আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন। ইউনিসেফ আফগানিস্তানের সহায়তায় সেটি মুরতাজার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও জানা যায়, শুধু মুরতাজার জন্য একটি জার্সিই না, মেসি আরও বেশ কয়েকটি অতিরিক্ত জার্সি পাঠিয়েছেন মুরতাজার পরিবারের জন্য। এরমাঝে একটি রয়েছে মেসিভক্ত শিশুটির বড় ভাই হুমায়ুনের। ১৫ বছরের বড় ভাই হুমায়ুন ছোট ভাইকে পলিথিন কেটে বানিয়ে দিয়েছিলেন পলিথিনের সেই জার্সিটি।
গত মাসের শুরুর দিকে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পলিথিনের জার্সি পরা মুরতাজার ছবি ছড়িয়ে পড়লে তা সাড়া ফেলে দেয়। সংবাদমাধ্যমগুলো উঠেপড়ে লেগে যায় মেসিভক্ত এই শিশুকে খুঁজে বের করার জন্য।
কাবুলের দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর গজনিতে পাওয়া যায় আফগান এই শিশুকে। মুরতাজার বাবা পেশায় একজন কৃষক। দরিদ্র এই বাবার সামর্থ্য ছিল না ছেলেকে জার্সি কিনে দেওয়ার। তাই, ছোট ভাইয়ের মেসির প্রতি ভালোবাসা দেখে পলিথিন কেটে একটি নকল জার্সি বানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।
আর সেই পলিথিনের জার্সি গায়ে মুরতাজার একটি ছবি ছড়িয়ে গেলে সেটি আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকর মেসির চোখে পড়ে। বার্সেলোনার সেরা ফরোয়ার্ড তখন দেখা করতে চেয়েছিলেন আফগান এই মেসিভক্তের। মেসির বাবা হোর্হে মেসিও জানিয়েছিলেন ‘লিও শিশুটির জন্য কিছু করতে চায়। ’
এখানেই থেমে থাকেনি ঘটনা। আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন এবং মেসির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আফগান ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে দুই মেসির সাক্ষাতের জন্য। কিন্তু, স্পেনে থাকা মেসি আর আফগানিস্তানে থাকা শিশু-মেসির দেখা খুব সহজে হয়নি সময় আর পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এমআর