ঢাকা: ফিফার ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত নির্বাচন হতে যাচ্ছে। কে হবেন পরবর্তী ফিফা প্রেসিডেন্ট? কার হাতে উঠবে দুর্নীতিক্লিষ্ট ফিফার আগামীর ভার? শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতেই তা জানা যাবে।
নিষেধাজ্ঞার কারণে নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না উয়েফার সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল প্লাতিনি। ফুটবলের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন বলছে, পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে মূল লড়াইটা হতে পারে শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল-খলিফা ও জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর মধ্যে। যদিও শেখ সালমানকেই অন্যতম ফেভারিট ভাবা হচ্ছে।
ফিফা নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ সালমান বাহরাইন রাজপরিবারের সদস্য। তিনি এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি। আর ইনফান্তিনো হচ্ছেন উয়েফার মহাসচিব। ২০০০ সাল থেকেই তিনি ইউরোপের সর্বোচ্চ সংস্থাটির সঙ্গে যুক্ত।
বাকি তিনজন হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী টোকিও সেক্সওয়েল, ফিফার সাবেক উপমহাসচিব জেরোম শ্যাম্পেন ও জর্ডান রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স আলী আল-হুসেইন। যিনি গত বছরের মে মাসে অনুষ্ঠিত ফিফা নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে সেপ ব্ল্যাটারের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন।
জানা যায়, ফিফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই গোপন ভোটে ফিফার ২০৯টি সদস্যের মধ্যে ২০৭টি দেশের ফুটবল ফেডারেশন একটি করে ভোট দিতে পারবে। সাময়িক নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে কুয়েত ও ইন্দোনেশিয়া। প্রথম রাউন্ডে কোনো প্রার্থী দুই-তৃতীয়াংশ ভোট (১৩৮টি) পেলে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। এর বিপরীত হলে অর্থাৎ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা কেউ না পেলে পরের রাউন্ডগুলোয় এগিয়ে থাকা প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করা হবে।
সূত্রমতে, ইতোমধ্যেই ফিফার ছয় ফেডারেশনের মধ্যে আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশন (৫৪ সদস্য) ও এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (৪৬ সদস্য) শেখ সালমানের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে, ৫৩ সদস্যের ইউরোপিয়ান ফুটবল ইউনিয়নের (উয়েফা) বেশিরভাগই সমর্থন দিচ্ছে ইনফান্তিনোকে।
এছাড়াও, দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন (কনমেবল), ৩৫ সদস্যের ক্যারিবীয় ও মধ্য আমেরিকান অঞ্চলের ফুটবল কনফেডারেশনও (কনক্যাকাফ) ইনফান্তিনোকে সমর্থন দিয়েছে। তবে ওশেনিয়া (১১ সদস্য) ও ১০ সদস্যের দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবল ফেডারেশন কাকে সমর্থন দেবে তা জানা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৬
আরএম