ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

প্রিমিয়ার ক্রিকেটে দুই বিদেশি

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১০
প্রিমিয়ার ক্রিকেটে দুই বিদেশি

ঢাকা: দেশের ক্রিকেটাররা যাতে বঞ্চিত না হয়, সেদিক ভেবে এতদিন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে একজন বিদেশি খেলানোর নিয়ম ছিলো। এই মৌসুম থেকেই বিদেশি ক্রিকেটারের কোটা আরেকটু প্রসারিত হচ্ছে।

প্রতিটি দল দুজন করে বিদেশি খেলাতে পারবে।

সিদ্ধান্ত একপ্রকার হয়েই আছে। প্রিমিয়ার বিভাগের দলগুলোর আবেদনে সাড়া দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রিকেট কমিটি (সিসিডিএম)। এখন শুধু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে অনুমোদন হলেই বেড়ে যাবে বিদেশি ক্রিকেটারের কোটা।  

সিসিডিএম’র সদস্য সচিব ইকবাল ইউসুফ চৌধুরী সোমবার বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন,“দুজন করে বিদেশি ক্রিকেটার থাকলে লিগের খেলা ভালো হবে। এতে দেশের ক্রিকেটাররা উপকৃতই হবেন। ”

ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচি অনেকটাই চূড়ান্ত। জাতীয় লিগের চারদিনের ম্যাচ দিয়ে মৌসুম শুরুর কথা রয়েছে। বড় কোন সমস্যা না হলে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত জাতীয় লিগের প্রথম ধাপের খেলা হবে।

২৬ অক্টোবর থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত হওয়ার কথা জাতীয় লিগের একদিনের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। বিশ্বকাপের জন্যই জাতীয় লিগের সূচি এভাবে সাজিয়েছে সিসিডিএম এবং টুর্নামেন্ট কমিটি।

এরইমাঝে মাঠে গড়াবে ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের খেলা। প্রথম বিভাগের দুই দিনের দলবদলের সময় ঠিক করা হয়েছে ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর। লিগ শুরু হয়ে যাবে ২০ অক্টোবর থেকে। শেষ হবে ১২ ডিসেম্বর।

ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেটের দলবদল হবে ৮ থেকে ১১ নভেম্বরের যেকোন দুই দিন। জাঁকজমকপূর্ণ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দিয়ে প্রিমিয়ার ক্রিকেটের যাত্রা শুরু। ২৭ নভেম্বর থেকে ২০ ওভারের খেলা হবে। প্রিমিয়ার লিগ হবে ৮ ডিসেম্বর ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।

অনেক অনেক পরিকল্পনা হাতে নিয়ে বসে আছেন সিসিডিএম’র কর্মকর্তারা। টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টকে আকর্ষণীয় করে তোলা তাদের অন্যতম লক্ষ্য। সিসিডিএম এর সময়ন্বয়কারী কাজী আনোয়ারুল ইসলাম তিয়াস বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, জাঁকমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতীয় শিল্পীদের দিয়ে গান পরিবেশনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়া থাকবে নানা অনুষ্ঠান এবং চোখধাঁধানো আতশবাজির ফোঁয়াড়া।

এখানেই শেষ নয়। টুর্নামেন্টটি সফল আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র কাছে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম চেয়েছেন কর্মকর্তারা। যদিও বিসিবি থেকে নেতিবাচক উত্তর এসেছে। তারপরেও আশা ছাড়েনি লিগ কমিটি। পুরো টুর্নামেন্ট না করা গেলেও অন্তত টি-টোয়েন্টির দুটি সেমিফাইনাল, ফাইনাল এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করতে চায় তারা।

মিরপুর হলে পুরো টুর্নামেন্টই হবে দিন-রাতে। শুধু চারদিনের জন্য স্টেডিয়াম বরাদ্দ পেলে উদ্বোধনীসহ শেষ তিনটি ম্যাচ দিবারাত্রিতেই আয়োজন করার ইচ্ছা আছে সিসিডিএম’র।

টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের সবগুলো ম্যাচই টেলিভিশনে সম্প্রচারের পরিকল্পনাও আছে লিগ কমিটির। একাধিক বেসরকারি চ্যানেলকে সম্প্রচার স্বত্ব দেওয়ার চিন্তাও করছে তারা।

বছরের অধিকাংশ সময় অলস বসে থাকা ক্রিকেটারদের জন্য হঠাৎই অতি ব্যস্ত সূচির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বৈকি। সেপ্টেম্বরে শুরু হয়ে জানুয়ারিতে গিয়ে দম নেওয়ার সুযোগ পাবেন ক্রিকেটাররা। এরপর বিশ্বকাপের মহাউৎসব শুরু হয়ে যাবে। বিশ্বকাপ শেষে জাতীয় লিগের বাকি খেলাগুলো আয়োজনের সূচি দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘন্টা, আগস্ট ১৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad