ঢাকা: খেলোয়াড়দের দলবদল পেছানোসহ ১২ দফা দাবিতে বাফুফের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থানে ছিলো বাংলাদেশ লিগের সাতটি দল। কিন্তু মঙ্গলবার বাফুফে সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের পর ‘বিদ্রোহী’ কাবগুলো আগের অবস্থান থেকে অনেকটাই সরে এসেছে।
লিগ কমিটিতে নিজেদের প্রতিনিধি রাখা, বাংলাদেশ লিগের দ্বিতীয় টায়ার শুরু করা, লিগের ক্যালেন্ডার ঘোষণা, অংশগ্রহণ ফি লিগ শেষ করার আগেই দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে সোচ্চার ছিলো ব্রাদার্স, রহমতগঞ্জ, আরামবাগ, চট্টগ্রাম আবাহনী, চট্টগ্রাম মোহামেডান, ফরাশগঞ্জ ও ফেনী সকার কাব। দল বদল পেছানোর দাবিতে এসব কাবগুলোর সঙ্গে যোগ দিয়েছে লিগের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দল শেখ রাসেলও।
মঙ্গলবার কাবগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। সভায় ‘বিদ্রোহী’ কাবগুলোর সমন্বয়কারী হিসেবে যোগ দেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের ফুটবল বিষয়ক সম্পাদক আমের খান। সঙ্গে ছিলেন রহমতগঞ্জ কাবের সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান ও শেখ রাসেলের সভাপতি নূরুল আলম চৌধুরী।
বৈঠক শেষে আমের খান জানান,‘‘বাফুফে সভাপতির সঙ্গে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। তিনি আমাদের দাবিগুলো বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে বাফুফের দেওয়া সময়ে দল বদলে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আমরা আগামীকাল (বুধবার) কাব প্রতিনিধিরা আলোচনা করে বাফুফেকে সিদ্ধান্ত জানাবো। ’’
কাবগুলো নভেম্বরে দল-বদলের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছিলো। তারা যুক্তি দেখিয়েছে, বাংলাদেশ এশিয়ান গেমসে অংশ নেওয়ার কারণে প্রায় একমাস ঘরোয়া লিগের খেলা থাকবে না। কিন্তু ফুটবলারদের ঠিকই বেতন দিতে হবে। ফলে কাবগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
রহমতগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান বলেন,‘‘একজন বিদেশি খেলোয়াড়কে মাসে অন্তত দুই হাজার ডলার করে দিলে ৫-৬ জন খেলোয়াড়ের পেছনে আমাদের ৮-১০ লাখ টাকা ব্যয় হবে। ’’
কাবগুলোর ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি। তিনি বলেন,‘‘কাবগুলো আর্থিক ক্ষতির কারণে দলবদল ও লিগ পিছিয়ে দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু আমি ৬-৭ মাস ফুটবল মাঠের বাইরে রাখতে পারাবো না। আমি এ মৌসুমের জন্য তাদেরকে স্পন্সর মানি বাড়িয়ে দিতে চেয়েছি। আশা করছি যথাসময়েই লিগ হবে। ’’
রাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘন্টা, আগস্ট ১৭, ২০১০