সেনাবাহিনীর অ্যাথলেট আল আমিন - ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
নেই ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ড, নেই অ্যাথলেটিকসের স্টার্টার পিস্তল। তাতে কি? প্রথম দিনেই জমে উঠেছে এনআরবি ব্যাংক ১৩তম জাতীয় সামার মিট অ্যাথলেটিকস। দুই দিনব্যাপী দেশের এই মেগা ইভেন্টে ট্র্যাকে নেমেছে অ্যাথলেটসরা।
সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেই শুক্রবার (২১ জুলাই) উদ্বোধনী দিনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে নেমেছিলেন সেনাবাহিনীর অ্যাথলেট আল আমিন। ১৫০০ মিটার মিডল ডিসট্যান্সে (মাঝরিপাল্লার দৌড়ে) নিজের ক্যারিয়ারে জাতীয় পর্যায়ে প্রথমবারের মতো লড়ে হয়েছেন সেরাদের সেরা (প্রথম স্থান)।
দিনের প্রথমার্ধে ১৫০০ মিটার দৌড়ে (পুরুষ) প্রথম হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আল আমিন। তার টাইমিং ছিল ৪:০৪:৯০। ৪:০৬:৪০ টাইমিং নিয়ে দ্বিতীয় হন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের খন্দকার কিবরিয়া আর ৪:১৫:৩০ টাইমিং নিয়ে তৃতীয় হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কামরুল হাসান। সুনামগঞ্জে জন্ম নেওয়া আল আমিন গতবারের জাতীয় অ্যাথলেটিকসে ভাগ্যের সহায়তায় অংশ নিয়েছিলেন। সেটিও অবশ্য ১০ হাজার মিটারে, হয়েছিলেন চতুর্থ। সেবার পরীক্ষার কারণে ট্র্যাকে নামতে বারণ ছিল। এছাড়া ছিল বয়সের ন্যূনতম কোটার মারপ্যাচ। একেবারেই শেষ মুহূর্তে ডাক পান আল আমিন। খেলোয়াড় কোটা পূরণের সুযোগ নিয়ে সেবার অংশ নেন। তাক লাগিয়ে দেন সিনিয়র অ্যাথলেটদের।
গড়নে হালকা-পাতলা আল আমিনের মা নেই। ৫ বছর আগে মাকে হারানো এই দৌড়বিদের বাবা থাকেন দেশের বাইরে। ভাইদের সমর্থনে এগিয়ে যাওয়া তার। স্বপ্ন দেখেন বিজিবির কিবরিয়া, সেনাবাহিনীর কামরুল, শাহীনদের মতো বড় অ্যাথলেট হতে, ‘সিনিয়র হলেও একই ট্র্যাকে নামি। আমি ওনাদের ফলো করি। তাদের দেখে কিছুটা শেখার চেষ্টা করি। দেশের সেরা অ্যাথলেট হতে চাই। আমার নিজের ভাইয়েরা আমাকে সেভাবে সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছেন। গ্যালারিতে বসে আজও আমার ভাই আমাকে সমর্থন দিয়ে গেছেন। আজ আমার একটা খুশির দিন। একটু পরেই এই খুশির সংবাদ পৌঁছে দেব বাবাকে। সবার দোয়ায় আমি এগিয়ে যেতে চাই। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, ২১ জুলাই ২০১৭
এমআরপি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।