ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

এক মিনিটেই চিত্রা নদী পাড়ি দিতেন মাশরাফি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৭
এক মিনিটেই চিত্রা নদী পাড়ি দিতেন মাশরাফি মাশরাফি ও তার বন্ধু সুমন দাস

নড়াইল: আমরা বন্ধুরা প্রতিদিন মাশরাফির সঙ্গে শহরের আলাদাতপুরের কুণ্ডুদের ঘাটে আড্ডা দিতাম। প্রতিদিনই চিত্রা নদীতে গোসল করতাম। গোসল করার আগে নদীর পাড়ে গাছে ওঠার পাল্লা দিতাম। কিন্তু মাশরাফির সঙ্গে আমরা কেউই পেরে উঠতাম না। মাশরাফি এক গাছে উঠে আর এক গাছ বেয়ে নেমে যেতো। তারপর চিত্রা নদীতে গোসল করতে নামতাম।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা নদীতে গোসল করতাম। সাঁতার কেটে প্রতিদিনই নদীর ওপারে যেতাম।

একসঙ্গে সবাই সাঁতার দিতে শুরু করলেও মাশরাফি সবার আগে নদীর ওপারে চলে যেতো।

ও (মাশরাফি) আমাদের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করতো স্রোতের মধ্যেও সে সোজাসুজি নদীর ওপারে যাবে। অনেক স্রোতের মধ্যেও মাশরাফি সত্যিই সোজাসুজি নদী পার হতো। এক মিনিটেরও কম সময়ে মাশরাফি ওপারে গিয়ে আমাদের জন্য অপেক্ষা করতো। স্রোতের জন্য আমরা অনেক দূরে গিয়ে নদী পাড়ি দিতাম। স্রোত আমাদের অন্যদিকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতো। খুব কষ্ট হতো আমাদের। কিন্তু ও (মাশরাফি) অনেক আগেই পৌঁছে যেতো সেখানে।

আমরা সবাই ওপারে পৌঁছানোর পর একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার সাঁতার কেটে এপারে চলে আসতাম। আমাদের মধ্যে কোনো বন্ধু যদি ক্লান্ত হয়ে সাঁতার কাটতে না পারতো তাহলে মাশরাফি তাকে কাঁধে করে সাঁতার কেটে এপারে নিয়ে আসতো।
৩০ সেপ্টেম্বর (শনিবার) সকালে বাংলানিউজের কাছে মাশরাফি সম্পর্কে এসব তথ্য দেন বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মতুর্জার বাল্য বন্ধু সুমন দাস।

মাশরাফির মা হামিদা মর্তুজা বলাকা

মাশরাফি বিন মতুর্জার রত্নগর্ভা মা হামিদা মর্তুজা বলাকা বলেন, ছোটবেলা থেকেই মাশরাফি খুব চঞ্চল ছিল। খেলা করতে, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াতে, আড্ডা দিতে, চিত্রা নদীতে সাঁতার কাটতে খুব পছন্দ করতো। প্রতিদিন স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে বই খাতা রেখেই দৌড়ে চলে যেতো চিত্রা নদীর পাড়ে। সেখানে আগে থেকেই মাশরাফির জন্য ওর বন্ধুরা অপেক্ষা করতো। মাশরাফি গেলেই সবাই একসঙ্গে নদীতে হৈ হুল্লোড় করে অনেক সময় ধরে গোসল করতো।
 
তিনি আরো জানান, মাশরাফি শুধু ক্রিকেটই নয় সব খেলাতেই পটু ছিল। স্কুলে যখন বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হতো প্রতিটা খেলাতেই মাশরাফি ভাল করতো। প্রতি বছরই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে একাধিক পুরস্কার নিয়ে বাড়ি ফিরতো।
 
এ সময় মাশরাফিসহ দলের সব খেলোয়াড়দের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন এই মমতাময়ী মা।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।