তবে আজ জয়ের খবরের বার্তা যেন আগেই পৌঁছে গিয়েছিল রাজশাহীবাসীর কাছে। তাইতো জয়ের আগেই শুরু হয় আতশবাজি।
রাজশাহী রয়্যালসের অগণিত সমর্থক খণ্ড-খণ্ড মিছিল নিয়ে শহরের শহীদ কামারুজ্জামান চত্বর, নিউমার্কেট, রাণীবাজার, গণকপাড়া হয়ে সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে গিয়ে মূল আনন্দ মিছিলে যুক্ত হয়। বিজয় মিছিলটি এখান থেকে শুরু হয়ে কুমারপাড়া ও আলুপট্টি স্বাধীনতা চত্বরসহ বিভিন্ন প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
জয়ের পরপরই রাজশাহী রাজপথে শুরু হয় বিজয় উল্লাস, মোড়ে মোড়ে সাধারণ মানুষ নেমে আসে বিভিন্নভাবে তারা আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। এ সময় রাজশাহী রয়্যালস, রাজশাহী রয়্যালস ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে আশপাশের এলাকা। সমর্থকরা ঢোল, ড্রাম, বাঁশি বাজিয়ে রাজশাহী রয়্যালসকে অভিনন্দন জানান। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে রাজশাহী নতুন ইতিহাস তৈরি করলো বলে মন্তব্য করেন অনেকে। দীর্ঘ দিন ধরে রাজশাহীর ক্রিকেট সমর্থকরা যেনো এমন একটি মুহূর্তের জন্যই অপেক্ষার প্রহর গুন ছিলেন।
বিজয়ের আনন্দে যে কতটা মাততে পারে, আর কতভাবেই যে সেই আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারে আজ আরও একবার তার প্রমাণ দেয় রাজশাহী শহরের ক্রিকেটপাগল দর্শকরা। উচ্ছ্বাসিত জনতার স্রোত ছড়িয়ে পড়ে মহানগরীর কদিরগঞ্জ গ্রেটাররোড, শালবাগান, উপশহর ও শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকায়ও।
বঙ্গবন্ধু বিপিএল যে এবার নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবে তা যেন আগেই জানা ছিল সবার। ফাইনালের দুই দল-রাজশাহী রয়্যালস ও খুলনা টাইগার্স এর আগে শিরোপার স্বাদ পায়নি।
শেষ পর্যন্ত খুলনার স্বপ্ন ভঙ্গ করে রেকর্ড জয়ের মধ্যে দিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হলো রাজশাহী। এজন্য সবার মুখেই ছিল একই স্লোগান, রাজশাহী- রাজশাহী! দলমত ভুলে খুশির জোয়ারে গা ভাসায় সবাই। এমন এক রেকর্ড জয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন রাজশাহীর ক্রিকেট ভক্তরা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
এসএস/ওএইচ/