ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

খেলা

রাজপরিবারের সামনে অভব্য আচরণ, জরিমানা গুনলেন কিরিয়স

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২২
রাজপরিবারের সামনে অভব্য আচরণ, জরিমানা গুনলেন কিরিয়স

উইম্বলডনে জরিমানা গুনলেন নিক কিরিয়স। রাজ পরিবারের সামনে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের শাস্তি পেয়েছেন তিনি।

ফাইনাল ম্যাচে মাঠে ছিল ব্রিটেনের রাজ পরিবার। তাদের সামনেই কিরিয়স অভব্য আচরণ করলেন বার বার। পরলেন লাল টুপি।

রয়্যাল বক্সের প্রথম সারিতে বসা প্রিন্স জর্জের সামনে বাজে ভাষায় তুমুল চিৎকার, শেষে প্রথা ভেঙে লাল টুকটুকে টুপি মাথায় দিয়ে ডাচেস অব কেমব্রিজের হাত থেকে রানার-আপ ট্রফি নিয়েছেন তিনি। ব্রিটেনের রাজ পরিবারের সামনে এই ঔদ্ধত্য মেনে নিতে পারেনি অল ইংল্যান্ড ক্লাব। তাই প্রায় চার হাজার ডলার জরিমানা গুনতে হয়েছে নিক কিরিয়সকে।

কিরিয়সের অভব্য আচরণের এখানেই শেষ নয়।  জোকোভিচের বিরুদ্ধে প্রথম সেটটা জেতার পরে এক নারী দর্শককে সেন্টার কোর্টের গ্যালারি থেকে বার করে দিতে বলেন তিনি। সেটা করতে গিয়ে কিরিয়সের মুখের ভাষা ছিল, ‘‘আরে ভাই, ওই যে ওই পোশাক পরে যে মহিলা বসে রয়েছেন, যাকে দেখে মনে হচ্ছে ৭০০ পেগ মদ চড়িয়েছে, তার কথা বলছি। ’’ রুদ্রমূর্তির কিরিয়সের চিৎকার শুনে ‘৭০০ পেগ’ মদ্যপান করা মহিলার নেশা ছুটে গিয়েছিল কি না জানা যায়নি, কিন্তু দর্শকসারিতে বসা প্রিন্স জর্জের ফর্সা মুখটা তখন লজ্জায় গোলাপি।

সংবাদ সম্মেলনেও নিজের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণই করেন কিরিয়স। ‘অপরাধ’-এর তালিকা এখানেই শেষ নয়। আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়ান। খেলা শেষে আবার প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী ও ডাচেস অব কেমব্রিজ কেট মিডলটনের হাত থেকে লাল টুপি পরে উইম্বলডন রানার-আপের পুরস্কার নেন। উইম্বলডন মানেই সাদা পোশাক। সেই নিয়ম মেনেই খেলতে হয় সমস্ত খেলোয়াড়কে। কিন্তু সেই নিয়মও ভেঙেছেন তিনি।

সাংবাদ সম্মেলনে যখন কিরিয়সকে জিজ্ঞাসা করা হয়, প্রথমবার উইম্বলডন ফাইনালে উঠে তার জয়ের খিদে আরও বেড়ে গেল কি না। উত্তরে তিনি বলেন, ‘একেবারেই না। আমি খুব ক্লান্ত। সবার আগে আমার খুব বড় একটা ছুটি চাই। ’ 

‘ভেবে দেখলাম, আজ জিতিনি ভালো হয়েছে। জিতলে হয়তো বাকি টেনিসজীবনের জন্য অনুপ্রেরণাটাই হারিয়ে ফেলতাম। আপনারা যেটাকে টেনিসের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ বলেন, হয়তো সেটাই জয় করা হয়ে যেত। বরাবরই মনে হয়েছে গ্র্যান্ড স্ল্যামে খেলার যোগ্যতা আমার আছে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আমি ঠিক উইম্বলডন ফাইনালিস্ট হওয়ার যোগ্য নই। আরে, আমি ক্যানবেরার (অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী) ছেলে। উইম্বলডন ফাইনালিস্ট হিসেবে এখানে বসে বকবক করছি, এটা ভেবেই অবাক লাগছে। বাস্তবে বোধ হয় সবই সম্ভব। এটা তার একটা উদাহরণ। আমার মতো এক জন নোভাক জোকোভিচকে উইম্বলডন ফাইনালে তিন ঘণ্টা কোর্টে আটকে রেখেছে, ভাবা যায়!’

বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২২
এআর/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।