ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

খেলা

শেখ কামাল ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার পাবেন কোচ-রেফারিরাও

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২২
শেখ কামাল ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার পাবেন কোচ-রেফারিরাও

আগামীকাল (৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেষ্ঠ্যপুত্র শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকীতে প্রদান করা হবে তার নামে প্রবর্তিত শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২২।  

আজ বৃহস্পতিবার (৪ আগষ্ট) সংবাদ সম্মেলনে পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ, সংগঠক প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।

আগামীতে এই পুরস্কারের তালিকায় যোগ হতে পারেন কোচ এবং রেফারিরাও, এমনটাই জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘দেশের কোচ এবং রেফারিরা বিভিন্ন খেলা পরিচালনা করতে অত্যন্ত পরিশ্রমের সঙ্গে কাজ করে থাকেন। তাদের পরিশ্রমের মূল্যায়ন করতে আগামীতে সেরা কোচ এবং রেফারিকে পুরস্কৃত করার কথা আমরা চিন্তা করেছি। ইতোমধ্যে মিটিংয়ে আমাদের এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ’

এবার ৭ ক্যাটাগরিতে ১১ জনকে পুরস্কার দেয়া হবে। উদীয়মান ক্রীড়াবিদ হিসেবে পুরস্কার পাবেন ক্রিকেটার শরিফুল ইসলাম ও আর্চার দিয়া সিদ্দিকী। সেরা ক্রীড়াবিদ হিসেবে থাকছেন ক্রিকেটার লিটন দাস, শ্যুটার আবদুল্লাহ হেল বাকী ও ভারোত্তোলক সাবেরা সুলতানা।

এছাড়া সেরা সংগঠক হিসেবে রয়েছেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সাইদুর রহমান প্যাটেল ও জাতীয় মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমা শামীম। আজীবন সম্মাননা পাবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও দেশের বর্ষিয়ান ক্রীড়া সংগঠক হারুনুর রশীদ।

সেরা সংগঠনের পুরস্কার পেতে চলেছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)। এবং সেরা পৃষ্ঠপোষক গ্রীণ ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড। সেরা ক্রীড়া সাংবাদিক কাশিনাথ বশাক।

পুরস্কার হিসেবে প্রতি ব্যক্তি/সংস্থা ১ লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সম্মাননা পদক পাবেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারের সঙ্গে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের পার্থক্য নিরুপণ করে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারে বর্তমান খেলোয়াড়দের বিবেচনা করা হয়। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে সাবেক খেলোয়াড়দের বিবেচনা করা হয়। ’

গত বছর শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পেয়েছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। যিনি স্বাধীনতা পদক পেয়েছিলেন ১৯৯৬ সালে। এবার আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন হারুনুর রশীদ। যিনি ১৯৯৬ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন। আজীবন সম্মাননায় উঁচু স্তরের পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তিদের জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার দেয়ার কারণ সম্পর্কে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আজীবন সম্মাননা একজন ব্যক্তির সারা জীবনের স্বীকৃতি। তাই এই ক্যাটাগরিকে আমরা বিশেষভাবে বিবেচনা করি। অন্য ক্যাটাগরিতে কিন্তু যারা জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন তাদের বিবেচনা করা হয় না। ’

ক্রীড়াঙ্গনে সর্বোচ্চ পুরস্কার জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য আবেদন করা বাধ্যতামূলক। শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারে আবেদনের বাইরেও পুরস্কার পেয়েছে। এই বিষয়ে ক্রীড়াপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আবেদন করে পুরস্কার নেওয়ার ব্যাপারে অনেক আলোচনা হয়। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার যেহেতু মন্ত্রীপরিষদে অনুমোদিত তাই সেখানে আবেদনের বাইরে পুরস্কার দেয়ার সুযোগ নেই। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারে আবেদনের বাইরেও পুরস্কার দিয়েছি। ’

একনজরে যারা পুরস্কার পাচ্ছেন:

  • উদীয়মান ক্রীড়াবিদ: ক্রিকেটার শরিফুল ইসলাম ও আরচার দিয়া সিদ্দিকী।
  • ক্রীড়াবিদ: ক্রিকেটার লিটন দাস, শ্যুটার আবদুল্লাহ হেল বাকী ও ভরোত্তোলক সাবেরা সুলতানা।
  • সংগঠক: স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সাইদুর রহমান প্যাটেল ও জাতীয় মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমা শামীম।
  • আজীবন সম্মাননা: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও দেশের বর্ষিয়ান ক্রীড়া সংগঠক হারুনুর রশীদ।
  • সংগঠন: বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)।
  • পৃষ্ঠপোষক: গ্রীণ ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড।
  • ক্রীড়া সাংবাদিক: কাশিনাথ বশাক।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২২
এআর/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।