ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

‘খনার বচন’ যে অফিসে!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৬
‘খনার বচন’ যে অফিসে!       ছবি: বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার): ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল জুড়ে প্রতিটি শস্যদানার ভেতর যে কিংবদন্তীতূল্য আহ্বান সুপ্ত হয়ে রয়েছে তা-ই খনার বচন। অর্থাৎ এক বিদুষী নারীর মহৎ এবং পরীক্ষিত সত্য উক্তির বাণী।

যা গুচ্ছ গুচ্ছ ছড়ায় সজ্জিত।
 
কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম আর লোকালয় জুড়ে যার আহ্বান আজও ভেসে বেড়ায় মানব সমাজের ভাগ্যোন্নয়ের প্রচেষ্টা হয়ে।
 
সেই খনার বচনকে পাওয়া গেলো এক সরকারি অফিসে। দেয়ালের ভাঁজে ভাঁজে সমান দূরত্বে অবস্থান করে সেই বাণী তার নিজস্ব আলো চারপাশে বিকিরণ করছে। কেউ কেউ সেই আলোর মাধ্যমে নিজের জ্ঞানকে আলোকিত করার চেষ্টা করে চলেছেন।  
 
রোববার (১৭ জুলাই) বিকেলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি অফিসে দিয়ে দেখা গেলো এমন অসংখ্য খনার বচনের ছড়ায় ছড়ায় রাঙিয়ে রয়েছে। একটি-দু’টি নয়, অনেকগুলো। ‘খেত আর পুত, যত্ন বিনে যমদূত’- কী সুগভীর এবং খাঁটি যত্ন রহস্য এর মধ্যে লুকায়িত; তা ভাবলে অবাক হতেই হয় বারবার।
 
এই উপজেলা ক্যাম্পাসে অনেকগুলো বিভাগের প্রশাসনিক অফিসের মধ্যে শুধুমাত্র কৃষি অফিসটিকে ‘ব্যতিক্রমী অফিস’ হিসেবে চিনে নেওয়া যায়। ভবনের নান্দনিকতা, উন্নতমানের কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আর দেয়ালে টাঙানো গুরুত্বপূর্ণ প্রবাদ-প্রবচনগুলো এ অফিসটিকে আলাদা মর্যাদায় ঠাঁই দিয়েছে।
 
দেয়ালে টাঙানো শ্লোক সম্পর্কে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুকল্প দাস বাংলানিউজকে বলেন, প্রাচীনকাল থেকেই কৃষি মানুষের চর্চায় রয়েছে। খনা প্রাচীন শতাব্দীর একজন বিদুষী নারী ছিলেন। তিনি আর অভিজ্ঞতা থেকে কৃষির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে ছোট ছোট শ্লোকের মাধ্যমে মানুষকে শিখিয়েছিলেন। কৃষিজাত ফসলের ক্ষেত্রে এবং জীবনাচারণ সম্পর্কে তিনি যে শ্লোকগুলো তৈরি করে গেছেন একবিংশ শতাব্দিতে এসেও এগুলো পুরোপুরি প্রয়োগযোগ্য।
 
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমাদের ‘সায়েন্টিফিক থিওরি’ যেগুলো আছে, বিজ্ঞানে সেগুলো যদি খনার ভাষায় বোঝাই তাহলে কৃষকরা খুব সহজেই সেগুলো গ্রহণ করেন।
 
‌আমাদের কৃষকরা খুব উচ্চ শিক্ষিত নন, খনা যে ভাষা বলে গেছেন, সেই ভাষায় কৃষকদের বোঝানো অনেক সুবিধা। জায়গা স্বল্পতার কারণে আমি অনেকগুলো খনার বচন থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নিয়েছি বলে জানান সুকল্প।
 
তিনি আরো বলেন, এখানে কৃষি প্রশিক্ষণের সময় প্রশিক্ষণার্থীরা যখন আসেন তখন সেগুলো পড়ে তারা কৃষি সম্পর্কে গভীর ধারণা লাভ করেন। কেউ কেউ আবার এগুলো না বুঝলে আমাদের এ সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। আমরা তাদের বিজ্ঞানের ভাষায় ব্যাখ্যা দিয়ে বুঝিয়ে দেই।
 
বগুড়া আরডি-এ ভবনে অনেকগুলো খনার বচন দেয়ালে লাগানো দেখে ওখান থেকেই এ আইডিয়াটি নিয়েছেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।



**সন্তান নিয়ে ‘মুন্নি’ এখন একা!

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৬
বিবিবি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে এর সর্বশেষ