কাছাড়িয়া হাওর, সুনামগঞ্জ থেকে: সুনামগঞ্জ শহর থেকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার। সুরমা ব্রিজ পেরিয়ে পশ্চিমে এগিয়ে উত্তরে মোড় নিলে দু’পাশে শুধু বিল আর হাওর।
হাওরের গ্রামে ইট-টিনের ছোঁয়া। কদিন বাদেই নিচু অঞ্চলগুলোর মতো এ গ্রামটিও হযে যাবে দ্বীপগ্রাম। তখন বাহন হিসেবে বিকল্প নেই নৌকা ছাড়া। তবে ইটের বাড়ি তাদের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা না প্রতিকূল পরিবেশের জন্য তা স্পষ্ট নয়।
ব্যবসায়িক নয়, হাওরের গৃহপালিত হাঁস। বাচ্চা নিয়ে মা হাঁসের এভাবে পানিতে বিচরণ করে খাবার খোঁজার দৃশ্য সচরাচর দেখা মেলা ভার। কারণ হাঁসের ডিমের বাচ্চা সাধারণ ফোটায় মুরগি।
সন্ধ্যার আগে প্রাণী, পাখিরা ঘর ছেড়ে বেশি বের হয় খাবারের উদ্দেশ্যে। একটি কুরা ঈগল ও বককে দেখা গেলো খাবার ভাগাভাগি করতে।
দূর আকাশ থেকে তাক করে গুলিগতিতে হাওরের পানিতে নেমে প্রিয় শিকার মাছ ধরতে উদ্যত সোনালি ডানার চিল।
শিকারের পূর্ব মুহূর্তে ডানায় ভেসে ছোঁ মারার মহড়া। হাওরাঞ্চলে ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে বাড়তি বিনোদন দেয় প্রকৃতির এ অপরূপ সৃষ্টিগুলো।
এভাবেই দলবেঁধে ঘোরে হাওরের হাঁসেরা। চরানো মালিকের লাঠি বা হাতের ঈশারা ও নির্দেশনা অল্পতেই বুঝে যায় তারা। এদের দলছুট হতে দেখা যায়ও কম। এখন। ডিম দেওয়ার সময় নয়। বর্ষায় অঢেল প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে ডিম দিবে কদিন পরেই।
দুপুরের খাবার নিয়ে সকালেই বেরিয়ে পড়তে হয় হাওরাঞ্চলের এসব শিশুদের। পড়াশুনায় মন-সুযোগ কোনোটাই খুব বেশি থাকে না এদের। মাছ ধরে, চাষ করে, নৌকা চালিয়ে দিন কাটে। দিনের সব কাজ মিটিয়ে মাজাজল মাড়িয়ে এবার ঘরে ফেরার পালা।
স্বস্তির সড়ক কাছাড়িয়ার পথে দেবে গন্তব্যে পৌঁছানোর বাড়তি আনন্দ। হাওরের বুক চিরে যাওয়া এ সড়কটির দুধারজুড়ে অনেকটা দূর এমন সবুজের সান্নিধ্য।
চলবে…
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৬
এএ
** হাওরের হাঁসে হাসি
** কাছাড়িয়া হাওরের পথে পথে-১
** মায়ার বাঁধনে মায়া, সঙ্গী জেমস-মনা
** এবার আসছে গৌরাঙ্গের সাত লেয়ারের জুস
** সবুজের বুক চিরে চেনা নতুন শ্রীমঙ্গল
** সাদা-কালো নাগা মরিচে গিনেস রেকর্ডের ঝাল
** তবু থেকে যায় সাতরঙা চায়ের রহস্য
** রাতদুপুরে সবুজবোড়ার রাস্তা পারাপারের দুঃখ
** পর্যটকবান্ধব নয় সিলেট-শ্রীমঙ্গলের ট্রেন
** চুলা নেই পূর্বাঞ্চলের কোনো ট্রেনের ক্যান্টিনে