ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

রাতের ক্বিন ব্রিজে ‘ঝাল কম, ঝাল বেশি’

এম জে ফেরদৌস, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৬
রাতের ক্বিন ব্রিজে ‘ঝাল কম, ঝাল বেশি’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সিলেট থেকে: সিলেট শহরের প্রবেশ মুখে যুগ যুগ ধরে আগতদের স্বাগত জানাচ্ছে সুরমা নদীর উপর স্থাপিত ঐতিহ্যবাহী ক্বিন ব্রিজ। দিনের বেলায় কর্মচঞ্চল এ ব্রিজের নিচে রাতে বসে জমজমাট আড্ডা।

 

সারাদিন যানবাহন ও কর্মব্যস্ত মানুষের হৈ-হুল্লোড়ে যেন ঢাকা পড়ে যায় সুরমা নদীর অস্তিত্ব। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুরমা নদী হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত, তার কুলু কুলু রব তখন ব্রিজের তলায় আগতদের কানে সুরে সুরে বাজে।
 
বিকেল থেকেই ব্রিজের নিচে নদীর দুই পাড়ে সমবেত হয় শহরের আড্ডাবাজরা। পারিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধব নিয়ে সুরমা পাড়ে এসে কিছুটা সময় কাটিয়ে দিনের ক্লান্তি দূর করেন তারা। সন্ধ্যার পর থেকে সেখানে ক্রমেই বাড়তে থাকে ভ্রমণকারীদের ভিড়। সুরমা নদীর গা ঘেঁষে বাঁধানো ফুটপাতে তখন বসে যায় সারি সারি চটপটির দোকান। দোকানের সাজানো চেয়ারগুলো ভরে যায় কাস্টমারদের আগমনে। ‘ঝাল বেশি, ঝাল কম’ নির্দেশনায় আসতে থাকে চটপটি-ফুসকার অর্ডার। দোকানির ব্যস্ততা, ভোজন রসিক ও আড্ডাবাজদের আনা-গোনায় রাতের ‍সুরমা নদীর পাড় বদলে ফেলে তার দিনের চিরায়ত চেহারা।

কেবল সৌখিন আড্ডাবাজরাই সন্ধ্যায় এসে জড়ো হন না ব্রিজের তলায়, প্রতিরাতে অংসখ্য রিকশা-ভ্যান চালক, বাস-ট্রাকের শ্রমিকরা ক্বিন ব্রিজের তলায় সুরমার শীতল জলে গোসল করে সারা দিনের ক্লান্তি দূর করেন।  
 
সুরমা নদীর উপর নির্মিত এ ব্রিজ সিলেটের প্রবেশদ্বার হিসেবেই পরিচিত। এক সময় এ ব্রিজটি সিলেটেরই অন্য পরিচয় হয়ে উঠেছিলো। সময়ের পরিক্রমায় ব্রিজটি হারিয়েছে সেই জৌলুস। এখন ক্বিন ব্রিজ সিলেটের ঐতিহ্য ও ইতিহাসের অংশ।  
 
১৯৩৬ সালে আসামের শিক্ষামন্ত্রী খান বাহাদুর আবদুল হামিদ এবং আসামের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য বাবু প্রমোদচন্দ্র দত্তের উদ্যোগে ব্রিজটি তেরি হয়। ব্রিজটি উদ্বোধন করেন আসামের তৎকালীন গভর্নর মাইকেল ক্বিন। তার নামেই ব্রিজের নামকরণ হয়। স্টিলের তৈরি এ ব্রিজ দৈর্ঘ্যে ৩৯৫ মিটার এবং প্রস্থে ৫.৫০ মিটার। ব্রিজের পাশেই আলী আমজাদের ঐতিহ্যবাহী ঘড়িঘর অবস্থিত। চমৎকার এ ঘড়িটি নির্মাণ করেন পৃথিমপাশার বিখ্যাত জমিদার আলী আমজাদ। দৃষ্টিনন্দন এ ঘড়িঘরটিও দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৬
এমজেএফ/এসএইচ

**উত্তাল হাকালুকির ঢেউয়ে ঢেউয়ে
**ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানায় স্মৃতির ধূলো

**টিলার ওপর দৃষ্টিনন্দন ফ্রুটস ভ্যালি
**পোস্টার-ব্যানারে ঢাকা এম এ রব চত্বরের নামফলক
** শীতল বনের খোঁজে বোকা বনে যাওয়া
**দিনের যাত্রী আসনই রাতের বিছানা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে এর সর্বশেষ