গল্প আড্ডায় এখন আগামী নির্বাচনের ভাবনা। তবে ভোট হবে কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে নেতাকর্মীদের মাঝে।
দিনাজপুর-৪ আসনে কে হবেন ধানের শীর্ষের কর্ণধার। তা নিয়ে এখনই হিসেব কষতে শুরু করে দিয়েছেন স্থানীয় বিএনপি’র নেতাকর্মীরা। তিন বারের সংসদ সদস্য মো. আখরুজ্জামান মিয়া, নাকি শিল্পপতি হাফিজুল ইসলাম।
চিরিরবন্দর-খানসামা উপজেলা নিয়ে গঠিত দিনাজপুর-৪ আসনে ৩ লাখের ওপরে ভোটার রয়েছে। আসনটিতে ১৮টি ইউনিয়নের মধ্যে বেশকিছু ইউনিয়ন জামায়াত-বিএনপি’র ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
ভোটের হিসেব সমানে সমান আওয়ামী লীগ আর বিএনপি। দলটির সাবেক সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান এবারও দলের মনোনয়ন চাইবেন। কম যাবেন না হাফিজুল ইসলামও। ২০০৮ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ৫২ হাজার ভোট পেয়েছিলেন হাফিজুল ইসলাম। যার কারণে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পরাজিত হন বিএনপি’র প্রার্থী।
তবে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কর্মী বিমুখ রাজনীতি অনেকটাই সুবিধা করে দেবে বিএনপি’র প্রার্থীকে- এ কথা খোদ বিএনপি’র খানসামা উপজেলা’র সাধারণ সম্পাদক স্কুল শিক্ষক আমিনুল হকের।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট হলে আমরা এই আসনে জিতবই। আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে কাজ শুরু করে দিয়েছি। আমাদের প্রার্থী দুইজন। কেন্দ্র থেকে যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হোক এক হয়ে কাজ করলে জয় হবেই। ’
দশম সংসদ নির্বাচনের মতো এবারও ভোট বর্জন করলে দলের অস্তিত্ব থাকবে না বলে মনে করেন তিনি। তাই আগামী নির্বাচনে যেভাবেই হোক ভোটে অংশগ্রহণ করতে হবে। তা না হলে আমাদের নেতা-কর্মী আর থাকবে না।
দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকলেও সাবেক এমপি আখতারুজ্জামান নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। অন্য প্রার্থী টাকার জোরে ধানের শীষের টিকিট নিলে তাতে ভরাডুবি হতে পারে বলে মনে করেন অনেকেই।
চিরিরবন্দর এলাকার বাসিন্দা এনামুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের আসনের বর্তমান এমপি কর্মীবান্ধব নন। মন্ত্রীর দুর্বলতার সুযোগে জিতে যেতে পারেন বিএনপি’র প্রার্থী।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ঘণ্টা,মে ২৭,২০১৭
এসএম/জেডএম
**বিএনপি’র নেতা খুঁজতেই গলদঘর্ম