দেবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের পাশেই চায়ের দোকানে বসে ভোটার ও আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কর্মীরা বলছিলেন, মাসের পর মাস নানা কাজে প্রয়োজন হলেও এমপি নুরুল ইসলাম সুজনের দেখা মেলে না।
দেবীগঞ্জের আওয়ামী লীগের কর্মী জুবায়েদ সাত্তার বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের এমপি সুজন খালি ঢাকায় কোর্টেই থাকেন।
অন্য কর্মী রমজান আলী বলেন, ‘সুজনের নিজের এলাকার উপজেলা নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হতে পারেননি। শুনেছি, জামায়াতের প্রার্থীকে তিনিই পেছন থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়েছেন। তাই জামায়াত নির্বাচিত হয়েছে বোদা উপজেলায়’।
এমপি সুজনের নির্দিষ্ট কর্মীরা তৃণমূলের কর্মীদের ওপরে নানা ধরনের অত্যাচার-নির্যাতন চালান। এর বিচার একাধিকবার তার কাছে চাওয়া হলেও কোনো প্রতিকার হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন দেবীগঞ্জের আওয়ামী লীগের সমর্থকরা।
কালী প্রসাদ রায় বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘সুজন এলাকায় কম আসেন। তার লোকজন মাঠের কর্মীদের ওপর কি ধরনের অত্যাচার নির্যাতন চালান তা তিনি জানেন না বা জানলেও প্রতিকার করছেন না। জমি দখলকে কেন্দ্র করে হিন্দু সম্প্রদায়ের গেরু রায়ের মেয়ের ওপর এমপির সমর্থকরা হামলা চালায়। হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্মানিত ব্যক্তিত্ব ওমাপদ রায়কে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালানো হলে এর বিচারও চাওয়া হয় এমপির কাছে। কিন্তু বছর পার হয়ে গেলেও তিনি বিচার তো করেনইনি, এসব বিষয় নিয়ে তৃণমূলে আমরা যারা কাজ করি, তাদের সঙ্গে আলোচনা পর্যন্ত করেননি। পঞ্চগড়-২ আসনে প্রায় ১ লাখ হিন্দু ভোটার রয়েছেন। তাই হিন্দুদের অবহেলা করলে চলবে না’।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১০ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০১৭
ইউএম/এএসআর/জেডএম