পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈল এলাকা নিয়ে ঠাকুরগাঁও-৩ আসন। এ আসনের মোট ২ লাখ ৭০ হাজার ভোটের মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৬৮ হাজার ভোটারের বাস পীরগঞ্জে।
কিন্তু নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ২০০১ সালে যখন বিএনপি সরকার গঠন করে তখনও এ আসনে পরাজিত হন চার দলীয় জোট সমর্থিত বিএনপি প্রার্থী। তাই এ আসনে কখনো জয়ের মুখ না দেখার দুর্নাম ঘোচাতে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে বিএনপি। এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জাহিদুর রহমান।
বাংলানিউজকে জাহিদুর রহমান বলেন, এবার আমরা সুসংগঠিত। দলের মধ্যে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা নির্বাচনের বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আগামী নির্বাচনে জয়লাভের জন্য আমরা আশাবাদী। আওয়ামী লীগের আমলে তেমন কোনো উন্নয়নই হয়নি। আমরা ক্ষমতায় গেলে স্বাস্থ্যসেবা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করবো। তাই মানুষ আমাদের প্রতি আস্থা রাখছে।
অন্যদিকে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনটি যে দুটি উপজেলা নিয়ে গঠিত তার দুটিতেই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা। আর তাই আগামী নির্বাচন নিয়েও বেশ খানিকটা আশাবাদী ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের ভোটাররা।
পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন বলেন, মানুষ যে বিএনপিকে ঠাকুরগাঁ-৩ আসনে দেখতে চায় তার বড় প্রমাণ হলো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে আমরা জয়ী হয়েছি। মানুষ আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তাই বিএনপিকে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে দেখতে চায়।
নির্বাচন যার অধীনেই হোক না কেন, বিএনপির তাতে অংশ নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা।
মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, নির্বাচন না হলে দেশের অবস্থার উন্নয়ন হবে কি করে। সব কিছুই একটি নিয়মে চলা উচিত। আর বিএনপির যদি সাধারণ ভোটারদের ওপর ভরসা থাকে তাহলে নির্বাচনে যাওয়াই উচিত। সেই নির্বাচন যদি শেখ হাসিনার অধীনেও হয় তাতেও কিছু আসে যায় না।
শুধু তাই নয়, পীরগঞ্জের প্রতিটি বিএনপি কর্মীই চান নির্বাচনে অংশ নিক দল। এবার বিএনপি যদি নির্বাচন বয়কট করে তাহলে কর্মীরা হতাশ হয়ে যাবেন।
নির্বাচনের মাধ্যমে পরিবর্তন আসতে হবে বলেও মন্তব্য করেন পীরগঞ্জ বিএনপির তৃণমূল কর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০০০০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৭
ইউএম/জেডএম