ইতোমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠক শুরু করেছে জেলা বিএনপি। এসব উঠান বৈঠকে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করা হচ্ছে।
জেলা বিএনপির কর্মী রায়হান আলম বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন করবেন। এ আসনের হার-জিতের সঙ্গে বিএনপির মান-সম্মান জড়িত। তাই সেভাবেই আমরা কাজ করছি। যে করেই হোক এ আসনে আমরা জয়লাভ করবোই। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেবো না’।
মাসে ২/৩ বার ফখরুলও আসছেন নির্বাচনী এলাকায়। ছুটে বেড়াচ্ছেন জেলা শহর ও উপজেলার সর্বত্র। তবে নিয়মিত এলাকায় থাকতে না পারায় ফখরুলের হয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তার ছোট ভাই ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র মির্জা ফয়সাল ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৈমুর রহমান।
নির্বাচনে যেন ভোট কারচুপি না হয়, সেজন্য প্রয়োজনে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাহারা বসাবেন বলে জানিয়েছেন তৈমুর রহমান।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও-১ আসনটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ আসন। এ আসনে জয়লাভে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। আওয়ামী লীগ যেন কোনো ধরনের কারচুপি না করতে পারে, সেজন্য প্রয়োজনে কেন্দ্রে কেন্দ্রে আমরা পাহারা বসাবো’।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেন। ঠাকুরগাঁও হিন্দু অধ্যুষিত হওয়ায় রমেশের ভোটব্যাংক ভারি বলে কিছুটা চিন্তিত জেলা বিএনপি।
তবে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ কায়েস দাবি করেন, ‘দলীয় ইমেজের তুলনায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ব্যক্তি ইমেজও অনেক শক্ত। তাকে পছন্দ করেন পুরো জেলার মানুষ। হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছেও ব্যক্তি হিসেবে তার কদর রয়েছে’।
‘নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা পেলেই কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বো’।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৭
ইউএম/এএসআর
** ঠাকুরগাঁও-৩: দুর্নাম ঘোঁচাতে মরিয়া বিএনপি