এ আসনের আওতাধীন অপর উপজেলা রানিশংকৈল। পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈল উপজেলায় জাতীয় নির্বাচনে তুরুপের তাশ হলো সংখ্যালঘুদের ভোট ব্যাংক।
স্থানীয় ভোটাররা জানান, এই সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংকের পাল্লা বর্তমানে প্রায় পুরোটাই ঝুঁকে আছে নৌকা প্রতীকের দিকে। প্রার্থী হিসেবে দল থেকে যেই মনোনয়ন পাক না কেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোট যাবে নৌকা প্রতীকেই।
ধনেশ্বর জালি পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী। রাজনীতি খুব একটা বোঝেন না। কিন্তু পূর্ব পুরুষের সময় থেকেই পরিবারের সবাই নৌকায় ভোট দিয়েছেন। আর তাই তিনিও ভোট দেবেন নৌকা মার্কাতেই।
ধনেশ্বর জালি বাংলানিউজকে বলেন, আমি গরীব মানুষ। রাজনীতি বুঝি না। নির্বাচন এলে ভোট দেই। তবে বাপ-দাদাদের আমল থেকে ভোট দিয়ে আসছি নৌকায়। সামনের নির্বাচনেও প্রার্থী যেই হোক ভোটটা দিবো নৌকাতেই।
ধনেশ্বর জালির মতো একই মত পীরগঞ্জের প্রায় পুরো হিন্দু সম্প্রদায়ের। সচেতন সংখ্যা লঘুদের ভোটও যাবে নৌকাতেই।
পীরগঞ্জের পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায়। এলাকায় মহাজোটের সাবেক প্রার্থী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিনের জন্য এর আগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কাজ করলেও পরে তিনি তাদের মূল্যায়ন করেননি বলে অভিযোগ তার।
বাংলানিউজকে বাদল বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অধীনে হাফিজ উদ্দিন নির্বাচন করায় আমরা সংখ্যালঘুরা তার জন্য কাজ করেছি। কিন্তু নির্বাচন যাওয়ার পর তিনি আমাদের খোঁজ পর্যন্ত নেননি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে যেহেতু নৌকার প্রার্থী ছিলো না, তাই হাফিজ উদ্দিনকে অনেক সংখ্যালঘুই তার দুর্ব্যবহারের জন্য ভোট দেয়নি। সেসব ভোট যায় ওয়ার্কার্স পার্টির ইয়াসীন আলীর মার্কায়। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে যে নির্বাচন করবে আমরা তাকেই ভোট দেবো। কারণ নৌকাতেই নিরাপদ বোধ করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা জানান, যদি এবার নৌকা প্রতীকে মহাজোট থেকে প্রার্থী না থাকে তবে তার সুযোগ নেবে বিএনপি। সব ভোট যাবে বিএনপির বাক্সে। এলাকার মানুষ এবার পীরগঞ্জ থেকেই এমপি চান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৭
জেডএম/
** ঠাকুরগাঁও-১: এখন থেকেই প্রস্তুত বিএনপি!
** ঠাকুরগাঁও-৩: দুর্নাম ঘোঁচাতে মরিয়া বিএনপি
** ঠাকুরগাঁও-২: ইমেজ সংকটে দবির, দৌড়ে প্রবীর কুমার
** ঠাকুরগাঁও-৩: মহাজোটে নৌকা নাকি লাঙ্গল!