ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভোটের-কথা

ক্লিন ইমেজ ধরে রেখেছেন আসাদুজ্জামান নূর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৯ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৭
ক্লিন ইমেজ ধরে রেখেছেন আসাদুজ্জামান নূর সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর

নীলফামারী থেকে: এলাকার মানুষের মাঝে ক্লিন ইমেজ ধরে রেখেছেন নীলফামারী-২(সদর) আসনের টানা তিন বারের সংসদ সদস্য(এমপি) সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। সততা, কথা দিয়ে কথা রক্ষা করা এবং কাউকে মিথ্যা আশ্বাস না দেওয়া এলাকার মানুষের কাছে তার প্রধান গুণ বলে বিবেচিত।

নীলফামারী সদর নির্বাচনী এলাকায় ঘুরে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনবারের এমপি এবং বর্তমান সরকারের মন্ত্রী হওয়ার পর তিনি এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। এলাকার রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজের তিনি উন্নয়ন করেছেন।

নীলফামারীতে স্পেশাল ইকোনোমিক জোনের কাজ চলছে। এখানে প্রায় সাড়ে চারশ’ একর জমির উপর নির্মিত এই জোনের কাজ শেষ হলে একলাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

এলাকাবাসী জানান, এই স্পেশাল ইকোনোমিক জোন প্রতিষ্ঠায় আসাদুজ্জামান নূরের অবদান রয়েছে। নীলফামারীতে রয়েছে রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা (ইপিজেড)। এখানে প্রায় অর্ধলাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই ইপিজেড স্থাপনেও আসাদুজ্জামান নূরের ভূমিকা ছিল।

উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে নীলফামারীর যোগাযোগ সুবিধার জন্য রিং রোডের দাবি রয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। এ দাবি বাস্তবায়নে এমপি নূরের সুদৃষ্টি আছে বলেও এলাকাবাসী জানান।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা আরো জানা যায়, এলাকার উন্নয়ন, মানুষের বিভিন্ন সমস্যা, কর্মসংস্থান, চাকরির ক্ষেত্রে তিনি সাধ্যমত চেষ্টা করেন। তার বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতি বা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এলাকায় নেই।

নিয়োগ বাণিজ্য বা টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগও কেউ তুলতে পারবে না। চাকরি বা সমস্যা নিয়ে এলাকার মানুষ তার কাছে গেলে তিনি কাউকে মিথ্যা আশ্বাস দেন না। যেটা তিনি পারবেন সেটা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং তা বাস্তবায়ন করেন। যেটা তিনি পারবেন না সেটা আগে থেকেই না করে দেন। কেউ অর্থের বিনিময়ে কোন কাজ করে দেওয়ার বা অন্যায় আবদার নিয়ে তার কাছে আসতে পারেন না বলেও এলাকাবাসী জানান। এ কারণে বলতে গেলে নীলফামারীর সর্বস্তরের মানুষ তাকে সম্মান করে। এলাকায় তিনি গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত।

তিনি নিয়মিত এলাকায় যোগাযোগ রাখেন,  আসেন। মন্ত্রী হওয়ার পরও আসাদুজ্জামান নূর প্রতিমাসে চার থেকে পাঁচ বার এলাকায় আসেন বলে জানা গেছে। এসময় এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ দলীয় কর্মসূচিসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেন।
 
এদিকে নীলফামারী সদর আসনে আসাদুজ্জামান নূর এমপি হওয়ার কারণে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বা হানাহানি নেই। অন্য রাজনৈতিক দলও শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কার্যক্রম চালাতে পারে বলে জানায় এলাকাবাসী।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যেও প্রকাশ্য কোন গ্রুপিং নেই।
 
জানা যায়, আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি ও পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হকের মধ্যে এক সময় দ্বন্দ্ব ছিলো। আসাদুজ্জামান নূরের চেষ্টায় সেই দ্বন্দ্ব এখন নেই।

গতমাসে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের যে বিশেষ বর্ধিত সভা হয়, সেই সভার পর ওই দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে।

নীলফামারী বাজারে কথা হয় এখানকার বাসিন্দা মনিরের সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আসাদুজ্জামান নূর এমপি থাকার কারণে এখানে রাজনৈতিক হানাহানি বা কোন মারামারি নেই। তার বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতির অভিযোগ নেই। মানুষকে তিনি মিথ্যা আশ্বাস দেন না। যেটা পারেন সেটাই করেন। এলাকার উন্নয়নে তিনি অবদান রেখে যাচ্ছেন। এলাকার সঙ্গেও তার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।    

নীলফামারী বাজারের ব্যবসায়ী সেলিম উদ্দিন বলেন, আসাদুজ্জামান নূর ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত। এলাকার জন্য তিনি যথেষ্ট কাজ করে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ নাই। আগে তিনি যখন শুধু এমপি ছিলেন তখনও তার সর্ম্পকে যা শুনেছি, মন্ত্রী হওয়ার পরও তাই শুনছি।

নীলফামারীর প্রবীণ সাংবাদিক আবু মুসা বলেন,  আসাদুজ্জামান নূর এখানকার উন্নয়নে যথেষ্ট অবদান রেখেছেন। স্পেশাল ইকোনোমিক জোন হচ্ছে, এর পেছনে তার যথেষ্ট ভূমিকা আছে। ইপিজেড স্থাপনেও তিনি ভূমিকা রেখেছিলেন। তার বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ অনিয়মের অভিযোগ তুলতে পারবে না।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৭
এসকে/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।