সদর আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। ২০০১ সাল থেকে তিনি এমপি নির্বাচিত হয়ে আসছেন।
নীলফামারী সদর আসনের বিভিন্ন শ্রেণী- পেশার মানুষ জানান, এলাকায় আসাদুজ্জামান নূরের ব্যক্তি ইমেজ ভালো। সৎ ও সজ্জন হিসেবে এলাকার মানুষের কাছে তিনি জনপ্রিয়। এলাকার উন্নয়নের দিকেও তার নজর রয়েছে।
নীলফামারী সদরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা মজবুত। কর্মসূচি ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিয়মিত পরিচালিত হয়। অভ্যন্তরীণ গ্রুপিং ও দ্বন্দ্ব যা ছিল, মিটে গেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যেও দলটি সর্ম্পকে ইতিবাচক ধারণা রয়েছে। সব মিলিয়ে এককভাবে শক্ত অবস্থানেই রয়েছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান দেওয়ান কামাল আহমেদও। তবে তার মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। জনপ্রিয়তার বিবেচনায় আসাদুজ্জামান নূরকেই ফের প্রার্থী করা হবে বলে এলাকাবাসী মনে করেন।
অন্যদিকে এলাকার লোকজন জানান, বিএনপির প্রকাশ্য কোনো কার্যক্রম তেমন একটা নেই। দলের মধ্যে রয়েছে দ্বন্দ্বও। জেলা বিএনপির সভাপতি সামসুজ্জামানের কথাতেই এখানে দল চলে। অথচ ব্যবসায়ী সামসুজ্জামান থাকেন ঢাকায়। মাঝে-মধ্যে নীলফামারীতে আসেন, তার বাড়ি বিএনপির অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিএনপির কার্যক্রমও ওই বাড়িকেন্দ্রিক।
তিনি বিএনপির প্রার্থী হতে চান। অথচ স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার তেমন যোগাযোগ নেই, সর্ম্পকও ভালো না।
নীলফামারীবাসী আরও জানান, এখানে বিএনপির সঙ্গে মিশে আছে জামায়াত। জামায়াতের কোনো নেতা বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে পারেন বলেও আলোচনা রয়েছে। এছাড়া খালেদা জিয়ার ভাগ্নে শাহরিন ইসলাম তুহিনের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনার কথাও শোনা যায়।
তবে আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টেকার মতো প্রার্থী বিরোধী দলগুলোর নেই বলেই মনে করেন এলাকার লোকজন।
নীলফামারী বাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, এখানে এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়র সবাই আওয়ামী লীগের। আওয়ামী লীগ নেতা দেওয়ান কামাল আহমেদ দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মেয়র নির্বাচিত হয়ে আসছেন। নীলফামারী সদর এখন আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি। এমপি আসাদুজ্জামান নূর ভালো মানুষ। তার সময়ে এলাকায় যথেষ্ট উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। তাই আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের জেতার সম্ভাবনাই বেশি।
অ্যাডভোকেট মনির বলেন, আসাদুজ্জামান নূর জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক ব্যক্তিত্ব। এলাকার মানুষের মধ্যে তার যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। আওয়ামী লীগের অবস্থাও ভালো। তিনি নির্বাচন করলে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
আরেকজন ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, এখানে আওয়ামী লীগের অবস্থাই সবচেয়ে ভালো। নিয়মিত দলীয় কার্যক্রম দেখা যায়। এমপি আসাদুজ্জামান নূরও বেশ জনপ্রিয়, তার সুনাম আছে। বিএনপির কর্মী-সমর্থক আছে, কিন্তু কার্যক্রম নেই। নেতাকর্মীদেরও মাঠে দেখা যায় না। বিএনপির সঙ্গে জামায়াত মিশে আছে। নির্বাচন হলে বিএনপি-জামায়াত একসঙ্গেই নির্বাচন করে। তবে যাই হোক, আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগই জয়ী হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৭
এসকে/এএসআর
** ক্লিন ইমেজ ধরে রেখেছেন আসাদুজ্জামান নূর