গঙ্গাচড়া ঘুরে পার্টির কর্মী ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ আসনে রাঙ্গা বা জাতীয় পার্টির কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছেন গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগের আসাদুজ্জামান বাবলু।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনকে উপজেলা পরিষদে প্রার্থী করেছিল আওয়ামী লীগ।
স্থানীয়রা বলছেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনও এবার মনোনয়ন চাইতে পারেন। রুহুল আমিন বিগত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে গঙ্গাচড়া আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলেও দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।
আর আগামী সংসদ নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টি জোট না হয় এবং বাবলু যদি মনোনয়ন পান তাহলে রাঙ্গার পক্ষে তাকে ঠেকানো কঠিন হবে বলেও মনে করছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, বাবলু দানশীল হিসেবে ভাবমূর্তি দাঁড় করিয়ে ফেলেছেন। বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছে তিনি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।
স্থানীয় এক হোমিও চিকিৎসক বলেন, মশিউর রহমান রাঙ্গা স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু তার চালচলনে মনে হবে তিনি আওয়ামী লীগ নেতা, জাতীয় পার্টির কেউ নন। সভা-সেমিনারে বক্তব্যে এরশাদের কথা বলতেও তিনি ইতঃস্তত করেন।
স্থানীয় এক স্কুলশিক্ষক বলেন, দলের জন্য রাঙ্গার কোনো ভালবাসা নেই। তার মুখে সবসময় সরকার দল আওয়ামী লীগের প্রশংসা। যেন তিনি আখের গোছাতেই ব্যস্ত।
ওই শিক্ষক আক্ষেপ করে বলেন, রাঙ্গা স্থানীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু গঙ্গাচড়ায় এমন কোনো কাজ তিনি করতে পারেননি যা উল্লেখ করার মত। এখন এখানে জাতীয় পার্টির অবস্থা এমন করুণ হয়ে পড়েছে যে সরকারের প্রতিমন্ত্রী থাকলেও জাতীয় পার্টি চলে সম্পূর্ণ সরকারি দল আওয়ামী লীগের কথায়।
অবশ্য সাংগঠনিকভাবে পিছিয়ে থাকলেও কেবল প্রতীক বা পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাবমূর্তির জোরেই রাঙ্গা উতরে যাবেন বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
মাঠে মগ্ন এক প্রবীণ কৃষক বলেন, গঙ্গাচড়ায় এরশাদই শেষ কথা। এ এলাকার মানুষ লাঙ্গল ছাড়া কিছুই চেনে না। এরশাদ যদি রাঙ্গাকে আবার লাঙ্গল দেন তাহলে আবার জিততে পারে। তবে জোট হলে সুবিধা করবে জাতীয় পার্টি। কারণ এখানে বিএনপির কোনো অবস্থা নেই, যতটা জামায়াতের আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৭
কেজেড/এইচএ/