গত কয়েকদিন ধরে মেঘনায় ইলিশ ধরা পড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। এখন চড়া দাম নেই।
বৃস্পতিবার (১০ আগস্ট) রামগতি ও কমলনগর উপজেলার মাছঘাট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি এক কেজি ওজনের এক হালি ইলিশ ২ হাজার ৫০০ টাকা ও আধা কেজি ওজনের চারটি ১ হাজার ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এক কেজিতে তিন ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা।
ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, ঘাটে সব সময় একই দাম স্থির থাকে না, ওঠা-নামা করে। স্থানীয় বাজারে ঘাটের চেয়ে কিছুটা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। এ দামে জেলে ও ক্রেতা উভয়েই খুশি।
স্থানীয় জেলেরা বলেন, নদীতে ইলিশ ধরা পড়লে ঘাটে দাম কম হয়। বেশি ইলিশ ধরা পড়লে কম দামে বিক্রি করলেও টাকার অংক বেশি দাঁড়ায়।
কমলনগরের স্কুলশিক্ষক মাইন উদ্দিন বলেন, বাজারে অন্য মাছের চেয়ে এখন ইলিশ বেশি। দামও আগের চেয়ে কম। তিনি স্থানীয় হাজিরহাট বাজার থেকে ৩টি ইলিশ (এক কেজি) ৫০০ টাকায় কিনেছেন।
রামগতি উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বলেন, প্রচুর বৃষ্টি ও জোয়ারে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাগর থেকে নদীতে ইলিশ আসতে শুরু করেছে। জেলেদের জালে ধরা পড়ায় দামও কমেছে। বাজারে এক কেজি সাইজের প্রতিটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় । গত এক সপ্তাহ আগেও দাম ছিলো এক হাজার টাকা। জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়লে দাম আরও কমবে।
কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুছ বলেন, মেঘনায় বড় ইলিশ আসছে, জালে ধরা পড়ছে। বাজারে দামও কমতে শুরু হয়েছে। বাজার থেকে ৭০০ গ্রামের একটি ইলিশ ৫২৫ টাকায় কিনেছেন বলেও জানান তিনি।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম মহিব উল্লাহ জানান, এখন ইলিশের ভরা মৌসুম। জেলার রামগতি, কমলনগর, রায়পুর ও সদর উপজেলার জেলেরা মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরায় ব্যস্ত। জালে কাঙ্খিত ইলিশ ধরা পড়ায় খুশি তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৭
এএসআর
** এবার মেঘনায়ও ইলিশ, জমেছে বেচা-কেনা
** ১ ইলিশ ৭০০০ টাকা!
** ঘাটেই ইলিশের হালি ৪১০০ টাকা!