শনিবার (৫ মে) সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন। তিনি জানান, ‘বাংলাদেশ ভবন’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন।
সবুজকলি বলেন, ‘বাংলাদেশ ভবন’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানেও অতিথির আসন নেবেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম তিনি ‘আচার্য’ হিসেবে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলেছেন। আমরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকেও এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে থাকার অনুরোধ করবো। তিনি থাকলে তা হবে আমাদের কাছে গর্বের।
এরপর ২৬ মে তিনি (শেখ হাসিনা) যাবেন আসানসোলে। সেখানে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হবে।
বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতির তথ্য পাওয়া যাবে ‘বাংলাদেশ ভবনে’। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর এ ভবন নির্মাণের প্রস্তাব গৃহীত হয়। দুই বিঘা জমির ওপর এ ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের শেষ দিকে। এ ভবনের কাজের অগ্রগতি দেখতে গত মাসের শেষে বিশ্বভারতী সফরে আসেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিরা।
৪৫ হাজার বর্গফুটের দ্বিতল এই বাংলাদেশ ভবনে থাকছে মিলনায়তন, পাঠাগার, ক্যাফেটেরিয়া, বাংলাদেশি পড়ুয়াদের থাকার জায়গা, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য চর্চা কেন্দ্রও। বিদেশি পড়ুয়ারাও সেখানে গবেষণার সুযোগ নিতে পারবেন।
সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছে সেখান থেকে সরাসরি চলে যাবেন শান্তিনিকেতনে। তবে এই সফরে নরেন্দ্র মোদী বা মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে আলাদা করে শেখ হাসিনা বৈঠকে বসবেন কি-না, সে বিষয়ে এখনও কারও বক্তব্য মেলেনি।
বেশ ক’বছর ধরে তিস্তার পানিবণ্টন ইস্যুতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশ তিস্তার ন্যায্য হিস্যা পেতে নয়াদিল্লির সঙ্গে সমঝোতা করতে চাইলেও বারবার তাতে বাধ সাধছেন পশ্চিমবঙ্গের নেত্রী মমতা। সম্প্রতি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ আরও বেড়েছে ঢাকার। রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে ঢাকার পাশেই অবস্থান দেখিয়ে আসছে নয়াদিল্লি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৮
এইচএ/