ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

উপন্যাস

নীল উড়াল: একবিংশ পর্ব

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৭
নীল উড়াল: একবিংশ পর্ব নীল উড়াল

নায়ক ম্যাকগিল ভার্সিটির অধ্যাপক-লেখক-অভিবাসী বাংলাদেশি। ফরাসি সুন্দরী মার্গারেট সিমোনের প্রণোদনায় দেশে মাদকচক্র নিয়ে গবেষণাকালে ঘটনা মোড় নেয় রোমাঞ্চকর বাঁকে। আসে ধুরন্ধর বন্ধু-অসৎ ব্যবসায়ী এনামুল, সুন্দরী স্টাফ রোকসানা, মধুচক্রের জেনিফার-মলি-পরী, ক্লিনিকের অন্তরালের মিসেস খোন্দকার, রমনার শফি মামা ও ফুলি, ‘উড়াল যাত্রা’র সাইফুল, বিড়ালের কুতকুতে চোখের তরুণ সাংবাদিক ফরমানউল্লাহ এবং ছোটখালার রহস্যময় মেয়ে অন্তরা। প্রেম ও বেঁচে থাকার যুগল উড়ালে কাহিনী আবর্তিত হতে থাকে।

২১.
ড্রাইভার সাইফুল দাঁত কেলিয়ে বললো:
-স্যার, এইডা হইলো ‘উড়াল যাত্রা’!
আমি অবাক হয়ে পাল্টা প্রশ্ন করি:
‘উড়াল যাত্রা’! বেশ নাম তো। এ আবার কি জিনিস, সাইফুল?
সে শিক্ষকের মতো আমাকে ব্যাখ্যা করে বলে:
-স্যার, কইছিলাম না, দশ মিনিটের মধ্যে সিএনজি লইয়া হাজির অমু।

হইছি তো?
আমি সায় দিলাম:
-হ্যাঁ, হয়েছো।
সাইফুল এবার বলে:
-জাম, জট, ভিড়, দূরত্ব, যা হোক, কুছ পরোয়া নাই। আল্লাহ পাকের উপর ভরসা কইরা আমারে ডাক দিবেন। ‘উড়াল যাত্রা’ দিয়া হাজির হইয়া যামু।

নীল উড়াল: বিংশ পর্ব

সাইফুলকে আসার জন্যে ফোন করার সময়ই সে বলেছিল, ‘স্যার দশ মিনিটে হাজির’। সে তা-ই করেছে। আমি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলি:
-ধন্যবাদ সাইফুল। তোমাকে আজ আমার বিশেষ দরকার।
আমার কথায় সে অত্যন্ত খুশি হয়েছে। সে বিগলিত কণ্ঠে বলে:
-বলেন, কি খিদমত করতে হইবো?
আমি তাকে আমার পরিকল্পনা খুলে বলি:
-তুমি আজ সারা দিন আমার সঙ্গে থাকবে। কয়েকটি জায়গায় যাবো। কাউকে কাউকে ফলো করবো।   টাকার জন্য চিন্তা করো না। পারবে না?
রোমাঞ্চিত গলায় প্রায়-চেঁচিয়ে বলল সে:
-কন কি স্যার? পারুম না মানে? আপনের লগে কাম করনের মজাই আলাদা। আর টাকা পয়সার কথা তুইলেন না। টাকা-পয়সা আমার কাছে কুনু বিষয় না। দুই দিনের দুনিয়া, টাকা আইবো আর যাইবো। কুছ পরোয়া নাই।

সাইফুলকে নিয়ে প্রথমেই নীলক্ষেতে চলে আসি। সিএনজি দাঁড় করিয়ে আমি বস্তির ভেতরে উদ্দেশ্যহীন হাঁটতে থাকি। বেশি সময় লাগলো না। একজন লোক আওয়াজ করে আমাকে হাতের ইশারায় কাছে ডাকলো। লোকটি একটি অস্থায়ী চায়ের দোকানের ছায়ায় দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছে। কাছে যেতেই লোকটি বললো:
-ভাইসাব আপনি শফি মামার লোক না।
চিনতে পারি, এই সেই পলিথিনওয়ালা। রাতে আমি আর শফি মামা যখন রিকসায়, তখন এসেছিল। আমি নরম গলায় উত্তর দিলাম:
-জ্বি ভাই।
সে ফিসফিস করে বললো:
-বিষয় কি? আপনি এইখানে?
লোকটি কিছুটা বিস্মিত। আমি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য শান্ত স্বরে বলি:
-এমনিই দেখতে এলাম।

আমার কথা কেড়ে নিয়ে লোকটি বিজ্ঞের মতো বললো:
-এমনি তো আসার কথা না। চলেন চলেন, আমার সঙ্গে আসেন।
লোকটি আমাকে নিয়ে বস্তির আরও ভেতরে একটি চালা ঘরে নিয়ে বসালো। চারদিকে পুরোনো জিনিস আর আবর্জনার স্তুপ। আমি তার হাতে একটি এক হাজার টাকার নোট ধরিয়ে দিলাম। লোকটি একই সঙ্গে বিস্মিত ও খুশি হলো। সে চেপে চেপে বললো:
-আপনি কুন পার্টির লোক?
আমি নিরীহ গলায় উত্তর দিই:
-ভাই আমি পার্টির না। সিনেমার লোক। সিনেমা বানাবো। কিছু দেখা-শোনা করতে আসছি।
লোকটির চেহারা থেকে ভয়ের একটি রেখা মিলিয়ে গেল। সে বললো:
-ও, এই কথা! কন কন কি জানবার চান?

তাকে বেশ উৎফুল ও ভাবনাহীন মনে হলো। মিনিট পনেরো সময়ে আমার যা জানার জেনে নিলাম। বিদায় দিতে দিতে লোকটি বললো:
-ভাই আমার কথা কুনুখানে কইয়েন না যেন।
তার চোখে আতঙ্ক ঠিকরে পড়ছে। আমি তাকে আশ্বস্ত করি:
-কদম চিন্তা করবেন না। আমার সঙ্গে আলাপ হয়েছে, এই কথা ভুলে যান।
সিএনজিতে উঠতে উঠতে শুনলাম লোকটি বলছে:
-হ! হাচাই কইছেন। এইডাই ভালা। আমি তো আপনেরে চিনিই না। আলাপ-পরিচয়ের প্রশ্ন আসে না।

সিএনজিতে বসতেই সাইফুলের গলা শোনা গেল:
-স্যার, এইবার কুনখানে যামু?
আমি একটু ভেবে বলি:
-আমাদের মূল কাজ এই এলাকাতেই। তবে সেটা বিকালের পর। সন্ধ্যায়। রাতের দিকে। চল এই ফাঁকে একটু ঘুরে আসি।

আমি ডা. ফাহমিদের অফিসে চলে এলাম। কিছু বিষয়ে কথা বলে পৌঁছুলাম শামীমের অফিসে। অফিসে তিনি খুবই ফরমাল। আমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি প্রকাশ করলেন না। আবার ঠা ঠা রোদের পথে নেমে দেখি বিকাল আসন্ন। সাইফুলকে নিয়ে হাল্কা লাঞ্চ সেরে নিলাম। সে বললো:
-স্যার, এবার কুন দিকে?
আমি তাকে পথের নির্দেশ দিয়ে বলি:
-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চলো। আমাদের মূল কাজ ওখানেই।

বাংলা একাডেমির সামনে সিএনজি আসতেই সাইফুলকে থামতে বলি। সে কড়া ব্রেক কষে সিএনজি থামালো। আমি বললাম:
-সাইফুল, তুমি এখানে কিছুক্ষণ রেস্ট নাও। আমি সন্ধ্যার দিকে আসবো। সে সময় জরুরি কাজ করতে হবে।
সাইফুল আমাকে আশ্বস্ত করে উত্তর দিল:
-কুনু চিন্তা কইরেন না স্যার। আমি আছি।

সিএনজি থেকে নেমে আমি কাল রাতে শফি মামার সঙ্গে যে যে স্পটে গিয়েছিলাম, সেগুলোতে চক্কর লাগানোর কথা ভাবছি। মামা কি অলক্ষ্যে আমাকে সূত্র ধরিয়ে দিলেন? ভাবের মানুষ। কথা বলেন কম। এ রকম মানুষরা ইশারায় কথা বলেন। আমাকে তার ইঙ্গিত বুঝতে হবে। শফি মামা ও ফুলির জন্য মনটা আর্দ্র হয়ে গেল।

পাবলিক লাইব্রেরি, চারুকলা, জেলখানার আশপাশ, চাঁনখানপুলে মিশে গেলাম কয়েক ঘণ্টার জন্য। বাংলাদেশে মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়া খুবই সহজ কাজ। সেটা ক্ষেত-খামার হোক, বস্তি বা জটলা, যাই হোক। সাধারণ মানুষ মেশার জন্য উদগ্রীব। সমস্যা হলো, উপর তলার নব্য ধনীদের নিয়ে। গোঁমর ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে সবার সঙ্গে মিশতে চায় না। আড়ালে-আবডালে থাকে। সন্দেহ ওদের মজ্জ্বাগত।

ঘুরাঘুরি বিফলে যায় নি। কিছু লোকাল এজেন্ট ও মিডলম্যানের সঙ্গে পরিচয় হলো। কয়েকজন ব্যর্থ কবি, পরিত্যক্ত প্রেমিক ও হতাশ উদ্যোক্তার সঙ্গে দেখা হলো। জীবন থেকে পালিয়ে এখানে আশ্রয় পেয়েছেন। শুরুতে যখন টাকা ছিল, তখন বারে বসে মদ্যপান করে দুঃখ ভুলতেন। এখন টাকা নেই, মদে আর নেশা ধরে না। প্রাকৃতিক পরিবেশে আসল মালের কাছে চলে এসেছেন। তাদের মুখে ভাবের কথার খৈ ফুটছে। একজন বললেন:
-ভাইসাব, বড় লোকের পোলা হইলে আরও ভাল মাল বাসায় বসেই খাইতাম।

আমাকে উদ্দেশ্য করে বলা হলেও কথাটা সঙ্গীদের মনে ধরেছে। তারা কোরাসে গাইলেন:
-আহা!...আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম...আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম...।    

আমার বেশিক্ষণ থাকার সুযোগ নেই। আকাশে সন্ধ্যার তোড়জোড়। মাদকাসক্তদের মনস্তত্ত্বগত দিকটি আমার জানা দরকার ছিল। কোনও কারণ ছাড়া তো কার্য সম্পন্ন হয় না। এদের সমস্যার কারণ কি? এই কারণগুলো আছে বলেই ব্যবসাটা চলছে। সব কিছু ‘কার্য ও কারণ’  সম্পর্ক সূত্রে গাথা। আগের জায়গায় ফিরে এসে সাইফুলকে দেখলাম দিব্যি বসে আছে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করি:
-কি সাইফুল, কষ্ট হয় নি?
সে উল্টা আমাকেই প্রশ্ন করে:
-কষ্ট কেন স্যার? মানুষের মধ্যে আছি। বিনা পয়সায় ‘মানব বায়োস্কোপ’ দেখতাছি।

এই ছেলেটি তো বেশ মেধাবী। গুপ্ত কবি নাকি? চমৎকার শব্দবন্ধ তৈরি করছে: ‘উড়াল যাত্রা’, ‘মানব বায়োস্কোপ’। আমি ওর দিকে সপ্রশংস দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলি:
-শোন, ঐ যে পার্কের মধ্যে গাছতলাটা দেখতে পাচ্ছ, সেখানে জটলা করা মানুষগুলোর মধ্যে বেখেয়ালী লোকটির নাম শফি মামা। তার কাছে মোটরসাইকেলে দু’জন তরুণ আসবে। ওরা কিছু জিনিস লেন-দেন করবে। আমরা মোটরসাইকেলটি এখান থেকে কোথায় যায়, সেটা ফলো করবো। পারবে না?

রোমাঞ্চিত গলায় সাইফুল উত্তর দেয়:
-কি যে বলেন স্যার? পারুম না মানে? আমাকে শুধু দেখাইয়া দেবেন। বাকি কাজ আমার।

সন্ধ্যার রক্তিম আলো ম্লান হয়ে নামছে আঁধারের চাদর। শফি মামার জটলা ক্রমেই ভরাট হয়ে আসছে। অদূরে ফুলিকে দেখা গেলো। আমি সিএনজির আড়ালে দাঁড়িয়ে সব লক্ষ্য করছি। আমার কথা তাদের চিন্তাতেও নাই। এ রকম কত মানুষ আসে যায়!  সবার কথা মনে রাখলে ওদের চলবে? শফি মামা আর ফুলি কি জানে, আমি ওদের কথা মনে রেখেছি? এমন কিছু কিছু চরিত্র পাওয়া যায়, যাদেরকে ভোলা যায় না। সারা জীবন মনে রাখতে হয়। অতি কৈশোরে ঢাকা থেকে কলকাতা যাবার পথে রাণাঘাট স্টেশনে এক অন্ধ ভিখারিনীর দেখা পেয়েছিলাম। হৃদয় মোচড়ানো গলায় সে গান গেয়ে গেয়ে ভিক্ষা করছিল:...ভালোবাসি বলে বন্ধু আমায় কাঁদালে রে বন্ধু...আমায় কাঁদালে...। ভিখারিনীর চেহারা মনে নেই, সেই গান মনের গভীরে রয়ে গেছে। একাকী নিঃসঙ্গ মুহূর্তে এখনও বেজে ওঠে সেই গান।

আমাদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো। শফি মামার আড্ডায় মোটরসাইকেল দেখা গেলো। আরোহীর একজন একটি ব্যাগ এনেছে। ব্যাগ থেকে কিছু বের করে শফি মামাকে দিল। মামা সেটা তার বোচকায় চালান করলেন। ব্যাগ এখন তরুণের পিঠে শোভা পাচ্ছে।   আমি সাইফুলকে তাড়া দিলাম। মাথা নেড়ে জানালো, ‘সে রেডি’। কাজ সেরে মোটরসাইকেল পার্কের ভিতর থেকে বড় রাস্তায় চলে এলো। আমরা রয়েছি পিছনে। শাহবাগের মোড় ফেলে এখন ছুটছে দুই তরুণ। পিছনে ‘উড়াল যাত্রা’য় ছুটে চলেছে সাইফুল। বেশ খানিকক্ষণ এ রাস্তা সে রাস্তা করে চলছে মোটরসাইকেল। আটার মতো পিছনে লেগে আছে সাইফুল। এক জায়গায় এসে স্পিড কমালো বাইকের তরুণ চালক। জায়গাটা আমার কাছে চেনা চেনা মনে হলো। একটি ভবনের সামনে এসে থামলো তারা। হর্ন দিল। নিঃশব্দে গেট খুলে গেলো। বিনা বাক্য ব্যায়ে মোটরসাইকেল প্রবেশ করলো ভবনের ভেতরে। নিরাপদ দূরত্ব রেখে সাইফুলও সিএনজি দাঁড় করিয়েছে।

ভবনটির সাইনবোর্ডের দিকে তাকাতেই আমার চক্ষু চড়ক গাছ! একি!  নিওন সাইনবোর্ডে জ্বলজ্বল করছে ‘ফ্রি ফ্রম এডিকশন’। আমি স্তম্ভিতের মতো কিছুক্ষণ সিএনজির জমাট অন্ধকারের মধ্যে বসে রইলাম। আমার বিমূঢ় ভাব কাটতে কিছু সময় লাগলো। উত্তেজনায় আমার আর কিছু দেখা হয় নাই। পিছনে লক্ষ্য করলে দেখতে পেতাম, আমার অতি চেনা একটি গাড়ি সিএনজির মধ্যে আমাকে দেখে নিঃশব্দে খানিক দূরে দাঁড়িয়ে গেছে। আমি চলে যাওয়ার পর গাড়িটি এসে ক্লিনিকে সামনে দাঁড়ালো। মোটরসাইকেলের মতো হর্ন বাজালো। নিঃশব্দে গেট খুলে গেলো। এই গাড়িটিও ভবনের মধ্যে প্রবেশ করলো। গাড়ির কালো কাঁচের জন্যে ভিতরে বসা এনামুলকে দেখা গেলো না। এনামুলের এক পাশে বসে আছে রোকসানা। অন্য পাশে অন্তরা। কিছুক্ষণ পর ভবন থেকে তরুণ সাংবাদিক ফরমানউল্লাকে বের হতে দেখা গেলো। সে গেটের পাশে দাঁড়িয়ে বিড়ালের মতো সন্তর্পণে চারদিকে সন্দেহের চোখে তাকালো। তারপর একটি খালি সিএনজি পেয়ে সেটাতে লাফ দিয়ে উঠে পড়ল।

বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে ‘ফ্রি ফ্রম এডিকশ’ এখন বন্ধ। ভালো করে তাকালে ভবনের বিভিন্ন তলার কক্ষগুলোর জানলার চাপা আলোয় মানুষের ছায়ার খেলা দেখা যাচ্ছে। বিরতি দিয়ে একের পর এক পাজেরো, মাইক্রো ভবনে প্রবেশ করছে। ধনীর সন্তান, নব্য মালদার, আমলা, পলিটিশিয়ানরা এসব গাড়িতে বসা। আঠারো-ঊনিশ শতকের রাতের ঔপনিবেশিক কলকাতার ফুল বাবুদের আধুনিক মডেল এরা। ফুরফুরে মেজাজে কেউ ঢুকছে, কেউ বের হচ্ছে। কেউ থেকে যাচ্ছে। সবশেষে গভীর রাতে একটি জিপ গাড়ি বের হয়ে গেল ক্লিনিক থেকে। গাড়ির সামনের সিটে মাথা ঝুঁকিয়ে বসে আছে মলির আন্টি। পিছনের সিটে মলি এবং আরও দু’টি মেয়ে। কেমন যেন তন্দ্রাচ্ছন্ন দেখাচ্ছে ওদের! ক্লান্ত, এলোমেলো, এলানো শরীর। মলিদের চলন্ত গাড়ির এক মুঠো কালো ধোঁয়ায় রাতের ঢাকার অন্ধকার আরও নিকষ ও বীভৎস হয়ে চারপাশে ছড়িয়ে গেলো। (চলবে)

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।