বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাজধানীর শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হওয়া এই মেলায় অংশ নিয়েছে ৭৬টি প্রকাশনী।
‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর জীবন করো রঙিন’ প্রতিপাদ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান।
শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিলন কান্তি নাথ এবং শিশু একাডেমির পরিচালক আনজীর লিটন।
আনিসুজ্জামান বলেন, নিজের শ্রম, মেধা ও বিবেচনা দিয়ে সামান্য একজন কর্মী থেকে মানুষের নেতা হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি মানুষকে ভালোবাসতেন এবং বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের ভালোবাসতেন। শিশুদের প্রতি তার অনেক অনুরাগ ছিলো। যার কারণে তার জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। শিশুদের জন্য আলাদা একটি দিন থাকায় তারা অবশ্যই আনন্দিত। আমি আশা করি এই মেলায় এসে শিশু-কিশোরেরা বই দেখবে, বই নাড়াচাড়া করবে এবং বই কিনবে।
সেলিনা হোসেন বলেন, ছেলেমেয়েরা ঠিক মতো বড় না হলে, তাদের জ্ঞানের পরিধি যদি ঠিক মতো না বাড়ে, নিজের দেশকে, নিজের মানবতা নিয়ে যদি বড় হতে না পারে, তাহলে দেশের জন্য মঙ্গলকর হয় না।
মেলায় ২৫ শতাংশ ছাড়ে বই কিনতে পারবে শিশুরা। মেলামঞ্চে প্রতিদিন থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লেখক-পাঠক কথোপকথন, সিসিমপুরের বিশেষ শো এবং আমন্ত্রিত ছড়াকারদের ছড়াপাঠ।
এছাড়া আরও রয়েছে ২২ মার্চ শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, ২৪ মার্চ সঙ্গীতশিল্পী পার্থ বড়ুয়ার সঙ্গীত পরিচালনায় জাতীয় শিশু পুরস্কার বিজয়ী শিশুশিল্পীদের পরিবেশনায় ছড়া-গানের আসর।
শুক্র ও শনিবার ছুটির দিন মেলা শুরু হবে সকাল ১১টা থেকে। ছুটির দিন ব্যতীত আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত মেলা চলবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শিশু একাডেমি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুকে লেখা চিঠি’ আয়োজনের সেরা দশ প্রতিযোগিকে পুরস্কৃত করা হয়। এর মধ্যে ‘সেরাদের সেরা’ পুরস্কার পেয়েছেন যশোরের কেশবপুর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুরাইয়া ইয়াসমিন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৯
এইচএমএস/এমজেএফ