ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ পৌষ ১৪৩১, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

আইজিসিসির আয়োজনে ফরিদা পারভীনের লালন সন্ধ্যা

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯
আইজিসিসির আয়োজনে ফরিদা পারভীনের লালন সন্ধ্যা লালন সন্ধ্যায় গান পরিবেশন করছেন শিল্পী ফরিদা পারভীন, ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: বাউল, চলতি কথায় সাধনপথের মরমি পথিক। গুরুর নির্দেশে দেহ সাধনার পথ ও পন্থা জেনে নিয়ে তার যাত্রা শুরু হয়। মহাজন তার বাক্য সুরের আশ্রয়ে গান হয়ে দিশা দেয় তাকে। গোপন-আঁধার পথের সুলুক-সন্ধান মেলে তারপর। আলোকিত হয়ে ওঠে তার মনের পৃথিবী। তিনি মহাত্মা লালন ফকির।

লালন, তিনি শুধু একজন বাউল নয়, লালন ছিলেন একজন মানবতাবাদী। তিনি ধর্ম-বর্ণ-গোত্রসহ সব রকমের জাতিগত বিভেদ থেকে সরে এসে মানবতাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন।

অসাম্প্রদায়িক এ মনোভাব থেকেই তিনি তার গান রচনা করেছেন। আর তার সেসব গানের মধ্যদিয়েই স্মরণ করা হলো তার স্বরূপকে।

ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের (আইজিসিসি) আয়োজনে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ধানমন্ডির আইজিসিসির কার্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় এ লালন সন্ধ্যা। এতে লালনের বিভিন্ন সংগীত পরিবেশন করেন বিখ্যাত লালন গীতি শিল্পী ফরিদা পারভীন।

কার্যালয়ের খোলা প্রাঙ্গণে ঘরোয়া পরিবেশে এসময় তিনি অজস্র দর্শক-শ্রোতাদের সামনে একে একে পরিবেশন করেন- ‘পাড়ে লয়ে যাও আমাই’, ‘যেখানে সাইয়ের বারাম খানা’, ‘বাড়ীর পাশে আরশীনগর’, ‘সর্ব সাধন সিদ্ধ হয় তার’, ‘খাচার ভেতর অচিন পাখি’, ‘এবার যদি না পাই চরণ’, ‘সত্য বল সু পথে চল’, ‘জাত গেল জাত গেল বলে’ সহ অন্যান্য গান।

এসময় তার সঙ্গে বাদ্যযন্ত্র পরিবেশনায় অংশ নেন- বাঁশিতে গাজী আব্দুল হাকিম, তবলায় দেবেন্দ্র নাথ চ্যাটার্জী, ঢোলে রেজা বাবু, দোতরায় এসকে জালাল উদ্দীন, এবং কিবোর্ডে দৌলতুর রহমান।

আয়োজনে শিল্পী ফরিদা পারভীন বলেন, লালন সবসময় জীবাত্মা ও পরমাত্মাকে এক সুতোয় বাঁধতে চেয়েছেন। বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণ এবং তাদের উপাদানকে তিনি তার গানের মধ্যদিয়ে প্রকাশ করেছেন। আমার কাছে মনে হয়, কেউ যদি লালনকে সঠিকভাবে ধারণ করতে পারে, তবে সে একজন সত্যিকারের মানুষ হতে পারবে। তার কারণে মানুষের কোনো অকল্যাণকর কাজ হবে না।

পরিবেশনা শেষে ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পক্ষ থেকে শিল্পী ফরিদা পারভীনের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন আইজিসিসির পরিচালক ড. নীপা চৌধুরী। এসময় তিনি সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৯
এইচএমএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।