শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর রাওয়া ক্লাব আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘রাওয়া বইমেলা ২০১৯’ উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
৬ষ্ঠ বারের মতো দুইদিনব্যাপী রাওয়া ক্লাব আয়োজিত এ বইমেলায় উদ্বোধনী আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী ও ঢাকা মার্কেন্টাইল কো অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) এম আবু জাফর চৌধুরী পিএসসি।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বইমেলা ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’র আয়োজন করে বাংলা একাডেমি। এ গ্রন্থমেলার পরিসর, বই বিক্রির পরিমাণ, প্রকাশকের সংখ্যা প্রতিবছর বাড়ছে। বাংলা একাডেমির বাইরেও প্রকাশকরা একক বা যৌথভাবে নানা সময়ে বইমেলার আয়োজন করে। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা শহরে বইমেলার নানা রকম আয়োজন দেখা যায়। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, বইয়ের সমাদর বিন্দুমাত্র কমেনি। একইসঙ্গে ই-বুক মুদ্রিত বইকে বাজার থেকে উধাও করবে এরকম মনে করার কোনো কারণ নেই বলেই আমি মনে করি।
রাওয়া ক্লাবের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) খন্দকার নূরুল আফসার বলেন, মনের ভাবকে হৃদয়ে প্রবেশ করাতে হলে বইয়ের বিকল্প নেই।
আলোচনা শেষে অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, হাবিবুল্লাহ সিরাজী ও গ্রুপ ক্যাপ্টেন এম আবু জাফর চৌধুরীর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন রাওয়া ক্লাবের চেয়ারম্যান। এরপর চারটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।
শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে পর্যন্ত রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত এ বইমেলায় সর্বমোট ৫০টি বইয়ের স্টল রয়েছে। এরমধ্যে ৪০টি অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের।
রাওয়া বইমেলায় মূলত অবসরপ্রাপ্ত সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের লেখা সামরিক ও বেসমরিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখিত বই বিক্রয় এবং প্রদর্শন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৯
এইচএমএস/এইচএডি