তিনি বলেছেন, কাইয়ুম চৌধুরী যখন আমাদের মধ্যে ছিলেন, তখন ছবি আকার মাধ্যমে চারপাশ আলোকিত করে রাখতেন। কর্মের মাধ্যমে দেশকে চিরকালের মতো একটি রূপ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বরেণ্য চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় একথা বলেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।
ড. আনিসুজ্জামান বলেন, কাইয়ুম চৌধুরীর সাফল্য আসে প্রচ্ছদ অঙ্কনে। লোকশিল্পের নানা উপকরণকে তিনি আত্মীকরণ করেছেন। তার ছবিতে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি ভেসে ওঠে। তিনি অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতেন। দূর থেকে ছবি দেখলেই বুঝা যেতো, এটা কাইয়ুমের শিল্পকর্ম। এ শিল্প তার মৌলিক অর্জন। তিনি আর্টের মাধ্যমে জীবনের নানা দিক তুলে ধরেছেন। অসীম মমতায় জাগ্রত তার মৌলিক অর্জন।
তিনি বলেন, তার সঙ্গে আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছে। বহুদিন তার সঙ্গে নানা কাজ করেছি। খুব কাছ থেকে তাকে দেখেছি। তিনি শুধু আর্টিস্ট নন, কবিতা, গানসহ বহু কর্ম করে গেছেন। বাংলার নদী, নৌকা, গ্রামীণ ছেলে ও মুক্তিযুদ্ধের ছবি একে আইকন হয়ে আছেন। তার চিত্রকলা ও গ্রাফিক্স ডিজাইন দু’টিতেই সেটা তুলে ধরেছেন। তার সম-সাময়িক কেউ এ ধরনের চিত্রকর্ম করতে পারেননি।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন অধ্যাপক আবুল মনসুর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিল্পকলা একাডেমির সচিব বদরুল আনম ভূঁইয়া। উপস্থিত ছিলেন কাইয়ুম চৌধুরীর সহধর্মিণী তাহেরা খানম চৌধুরী।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে আলোচনা, পাঠ ও গানের আয়োজন করা হয়েছে। গান পরিবেশনা করছেন একঝাঁক শিল্পীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
টিএম/ওএইচ/