মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অমর একুশে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চের আলোচনায় এমনটাই বলেন বক্তারা। এদিন মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় মোহাম্মদ আলী খান রচিত ‘ডাকটিকিট ও মুদ্রায় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সাবেক সচিব শ্যামসুন্দর সিকদার ও কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক ইকরাম আহমেদ। গ্রন্থের লেখকের বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ আলী খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
প্রাবন্ধিক বলেন, ইতিহাসের ঊষালগ্ন থেকে যেসব মানুষ একে অন্য থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতো, তারা একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনবোধ করছিল। এ প্রয়োজনবোধ থেকেই জন্ম হয়েছিল সংবাদ আদান-প্রদানের ব্যবস্থা, আর সেটারই পরিণামে ভূমিষ্ট হয় প্রাথমিক ডাক-ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি বিধায় স্বভাবতই বাংলাদেশের ডাকটিকিট ও মুদ্রায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রাধান্য পাওয়ারই কথা, সেটাই ঘটেছে। ‘ডাকটিকিট ও মুদ্রায় বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থটিতে লেখক চিত্রাদি সহকারে বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন।
আলোচকরা বলেন, পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই তাদের ঐতিহ্য, ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের প্রতিকৃতি সংবলিত ডাকটিকিট ও মুদ্রা থাকে। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্যের পাশাপাশি আমাদের স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিও আমরা ডাকটিকিট ও মুদ্রায় স্থাপন করেছি। এ গ্রন্থে বাংলাদেশের ডাকটিকিট ও মুদ্রায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নিয়ে তথ্য বহুল আলোচনা স্থান পেয়েছে, যা নিঃসন্দেহে বঙ্গবন্ধু বিষয়ক গ্রন্থের মধ্যে একটি অনন্য সংযোজন।
গ্রন্থের লেখক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের ডাকটিকিট ও মুদ্রার ইতিহাস নিয়ে লিখিত এ গ্রন্থ আমার লেখক জীবনের পরম গর্বের বিষয় হয়ে থাকবে। আমরা আশা করবো, শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বেই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সংবলিত ডাকটিকিট প্রকাশিত হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ফজলে কবির বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সংবলিত ডাকটিকিট ও মুদ্রা নিয়ে গ্রন্থ প্রকাশের এ উদ্যোগ অত্যন্ত শ্রমসাধ্য ও প্রশংসনীয়। ডাকটিকিট ও মুদ্রায় বঙ্গবন্ধু গ্রন্থের লেখক মোহাম্মদ আলী খান প্রচুর তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে এ সচিত্র গ্রন্থটি রচনা করেছেন, যা সব শ্রেণির পাঠকের কাছেই সমাদর পাবে বলে আমার বিশ্বাস।
আলোচনা সভা শেষে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন কবি সোহরাব পাশা, রহিমা আখতার কল্পনা, শিহাব শাহরিয়ার এবং অনিকেত শামীম।
আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মাহফুজুর রহমান, অনন্যা লাবনী পুতুল এবং শহিদুল ইসলাম নাজু।
সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, রথীন্দ্রনাথ রায়, শফি মণ্ডল, সালমা চৌধুরী, মো. রেজাউল করিম এবং শুভ্রা দেবনাথ।
এছাড়া সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ছিল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সমস্বর’।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
এইচএমএস/আরবি/