উপন্যাসটি মেলায় এনেছে প্রকাশনা সংস্থা- বাতিঘর। প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী মইনুল আলম।
‘বিস্ময়চিহ্নের মতো’ উপন্যসের প্রেক্ষাপট জানতে চাইলে রিমঝিম আহমেদ বলেন, মেরুন রঙের একটা ডায়েরি, ফাঁকে নীল রিবন। বাসা বদলের সময় হঠাৎ হাতে এসে যাওয়া সেই ডায়েরিটা কীভাবে যেন ঢুকে পড়ল রূপকের জীবনে। শুধু তো রূপক নয়, তার বান্ধবী নিধি, নিধির বান্ধবী শহরের উঠতি গল্পকার সায়মা আর সায়মার সূত্রে তরুণ প্রজন্মের পুরো লেখকমহলকেই যেন কয়েক দিনের জন্য আচ্ছন্ন ক’রে ফেলল সেই ডায়েরির পৃষ্ঠাগুলো। কার ডায়েরি? না, কোনও বিখ্যাত জনের নয়। সেতারা নামের কোন্ এক হদ্দ পাড়াগেঁয়ে মেয়ে দিনের পর দিন গোটা গোটা অক্ষরে লিখে গেছে তার প্রকৃতি, পরিবেশ, পরিবার, তার গ্রাম, মফস্বল, নদী। সেইসব হরফের ভেতর দিয়ে ভেসে আসে পাহাড়তলির চিটচিটে মাটির ঘ্রাণ, দরিয়ার নোনা পানির ঘ্রাণ, ঘূর্ণিঝড়ের লণ্ডভণ্ড-করা বাতাসের ঘ্রাণ। ঘোর নিম্নবিত্ত জীবনের নানা মোচড় আর বাঁকবদল শীর্ণ এক বালিকার ওপর কেবলই লাফিয়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়ের মতোই। ছিঁড়ে যেতে যেতে একটি কুসুম পৌঁছে যায় কৈশোরে, প্রণয়ঘন তারুণ্যের দ্বারপ্রান্তে। সে কোনও রুদ্ধশ্বাস গোয়েন্দা কাহিনী নয়। তবু শহরের তরুণ লেখকেরা সেইসব হরফের পিছু ধাওয়া করে এক আদিম মায়ায়। এমন একটি ডায়েরি নিয়েই এ উপন্যাসের প্রেক্ষাপট গড়ে উঠেছে।
প্রথম উপন্যাস প্রকাশের অনুভূতি জানতে চাইলে রিমঝিম বলেন, আসলে একধরনের ভয়, কুণ্ঠা আর উত্তেজনার মিশেল অনুভূতি হচ্ছে। প্রথম উপন্যাস। তাছাড়া আমি তো কবিতারই মানুষ। ছোটগল্প নয় একেবারেই উপন্যাস। তা একটু ভয়-ভয় লাগছে। ২০১৬ সালের শেষ দিকে লেখা শুরু করেছিলাম। এটা লেখার ক্ষেত্রে নিজের মধ্যে একধরনের তাড়না ছিল। মনে হলো, লিখি। হয়তো আর কিছু না লিখলেও এই উপন্যাসটা আমি লিখতাম। কেন সে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি না আপাতত। বইটি পাঠকের হাতে পৌঁছাক। পাঠক কীভাবে নেবেন, না নেবেন— সময়ের জন্য তোলা রইল।
এর আগে রিমঝিম আহমেদের প্রকাশিত কবিতার বইগুলো হলো- লিলিথের ডানা [চৈতন্য, ২০১৬],
কয়েক লাইন হেঁটে [জেব্রাক্রসিং, ২০১৮], ময়ূরফুলের সন্ধ্যা [বাতিঘর, ২০১৯] ও সুবেহ তারা [তবুও প্রয়াস, কলকাতা ,২০১৯]।
রিমঝিম আহমেদের জন্ম ১৯৮৫ সালের ৮ জুলাই চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায়। তিনি পেশায় উন্নয়নকর্মী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
এইচজে