বইটি মেলায় এনেছে প্রকাশনা সংস্থা- চৈতন্য। প্রচ্ছদ করেছেন মোস্তাফিজ কারিগর।
‘আলাপের অ্যাম্ফিথিয়েটারে’ যে ১০ নারী লেখকের সাক্ষাৎকার আছে, তারা হলেন- আনোয়ারা সৈয়দ হক, ঝুমুর পাণ্ডে, তৃপ্তি সান্ত্রা, নাসরিন জাহান, পাপড়ি রহমান, মঞ্জু দাস, রাশিদা সুলতানা, সঙ্গীতা বন্দোপাধ্যায়, সুতপা দাস ও স্বপ্না ভট্টাচার্য। সাক্ষাৎকারগুলোতে এ লেখকরা নিজেদের লেখালিখি, গল্প-উপন্যাস লেখার ইতিহাস, কৃৎকৌশল, শৈশব, রাজনীতি, নারীবাদ, প্রেম, প্রতিবন্ধকতা, বিপ্লব ও লেখক হয়ে ওঠার অভিজ্ঞতাসহ আরও বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন।
সাক্ষাৎকারগুলো নেওয়ার পেছনে কী ধরনের চিন্তাভাবনা কাজ করেছে জানতে চাইলে ইশরাত তানিয়া বলেন, পুরুষশাসিত সমাজে নারীর কথা বলার পরিসরটি তেমন বড় নয়। এই ক্ষুদ্র পরিসরেও লৈঙ্গিক রাজনীতির মাধ্যমে নারীস্বরকে ক্ষীণ করে রাখা হয়েছে। সাহিত্যজগতে এই ক্ষীণস্বরটি যেন আরও কিছুটা ক্ষীণ। বাংলা সাহিত্যে নারীদের উচ্চারণ শোনার আগ্রহ থেকেই বাংলা ভাষায় সাহিত্য চর্চা করেন এমন ১০ নারীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করি। বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্য থেকে এ নারী কথাসাহিত্যিকদের নির্বাচন করা হয়েছে। নির্বাচিত লেখকদের কেউ মূলধারার, কেউ ছোট কাগজের, কেউবা দুটো ধারাতেই লিখছেন।
এরকম একটি ব্যাতিক্রমী সাক্ষাৎকারের বই প্রকাশের অনুভূতি জানতে চাইলে ইশরাত তানিয়া বলেন- আনন্দম! সাক্ষাৎকারগুলো ২০১৯ সালে নেওয়া এবং এগুলো এর আগে কোথাও প্রকাশ করা হয়নি। যত দূর জানি বাংলা সাহিত্যে নারী কথাসাহিত্যিকদের সাক্ষাৎকার নিয়ে এর আগে কোনো ক্রস বর্ডার কাজ আগে হয়নি। তাই স্বাভাবিকভাবেই আনন্দের গভীরতা আর বিস্তৃতির মাত্রা অধিক। তবে এই আনন্দের সাথে দায় ও দায়িত্বও যুক্ত আছে।
ইশরাত তানিয়ার আগের বইগুল হলো- কবিতা: নেমেছ ইচ্ছে নিরিবিলি (২০১৬), গল্প: বীজপুরুষ (২০১৮), মদ এক স্বর্ণাভ শিশির (২০২০)। এছাড়া সাহিত্য ও সামাজিক সংগঠন ‘কালি’র সঙ্গে যুক্ত তিনি।
১৯৮০ সালে ৬ নভেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ইশরাত তানিয়া। পেশা শিক্ষকতা। তিনি বর্তমানে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ'র বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশান ডিপার্টমেন্টে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
এইচজে