ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য বইমেলার অনন্য আয়োজন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য বইমেলার অনন্য আয়োজন

ঢাকা: প্রতিবছরের মতো এবারও অমর একুশে গ্রন্থমেলায় নেমেছে মানুষের ঢল। প্রতিদিন সন্ধ্যা নেমে আসতে আসতেই বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়। পাঠকেরা প্রিয় লেখকের নতুন বইয়ের সন্ধানে ঢু মারতে থাকেন নামজাদা প্রকাশনীর স্টলগুলোতে। স্কুলপড়ুয়া শিশুরা বাবা-মায়ের কাছে আবদার করে পছন্দের বইয়ের জন্য আর দিন শেষে বাড়ি ফেরে বইয়ের ব্যাগ হাতে করে।

কিন্তু সব শিশুই কি পছন্দের বই পড়ার সুযোগ পায়? ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী দেশে মোট সুবিধাবঞ্চিত শিশুর সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি। শুধুমাত্র ঢাকা শহরে এই সংখ্যা চার লাখের বেশি।

এই শিশুরা ইচ্ছে থাকা সত্যেও বই পড়ার সুযোগ পায় না। এমন সুবিধাবঞ্চিত অসংখ্য শিশুর হাতে বই তুলে দিতে এই বইমেলায় এবার অনন্য এক উদ্যোগ নিয়েছে বিকাশ ও অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন। বিকাশ এই শিশুদের জন্য  পাঁচ হাজার নতুন বই দিচ্ছে । শুধু তাই নয়, বইমেলা প্রাঙ্গণে বিকাশের রয়েছে চারটির বেশি বই অনুদান কেন্দ্র যা মাধ্যমে সর্বসাধারণের কাছ থেকেও বই সংগ্রহ করা হচ্ছে। আপনিও আপনার ছোটবেলার পড়ে ফেলা বইগুলো নিয়ে চলে আসতে পারেন বইমেলায় থাকা বিকাশ বই অনুদান কেন্দ্রে।

অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন আপনার দেওয়া এই বইগুলো পৌঁছে দেবে দেশের আনাচে-কানাচে থাকা হাজারো সুবিধাবঞ্চিত শিশুর হাতে। বিকাশের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেকেই এগিয়ে এসেছেন আর বইমেলায় যাচ্ছেন বাসায় পড়ে থাকা পুরনো বই নিয়ে। অনেকে আবার বইমেলায় গিয়ে নতুন বইও কিনে দিচ্ছেন। এরই মধ্যে বিকাশ তাদের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে কিছু বই তুলে দেয় অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশনের কিছু ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে। নতুন বই এবং অনুদানের মাধ্যমে প্রাপ্ত বই ধাপে ধাপে অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে সারাদেশে তাদের স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কাছে - এটাই সবার প্রত্যাশা।

ইউনিভার্সিটি ছাত্রী ফারিহা সম্প্রতি বই দিয়েছে বিকাশ বই অনুদান কেন্দ্রে।

তার মতে, আমরা ছোটবেলায় গল্পের বই পড়ে যে আনন্দ পেতাম তা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। কোনো নতুন বই পেলেই আমাদের মধ্যে থাকত এক অন্যরকম উত্তেজনা, নিজেরাই যেন মিশে যেতাম বইয়ের চরিত্রের সঙ্গে। গোয়েন্দা বিষয়ক বই বা রুপকথার গল্প মনে হত যেন আমি গল্পেরই একটি অংশ। আমি চাই এই আনন্দ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝেও ছড়িয়ে যাক।

বই অনুদানের এই সাড়া জাগানো উদ্যোগে ইতোমধ্যে বিখ্যাত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট আরিফ আর হোসাইন একাত্মতা প্রকাশ করে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি একটি চোখে পড়ার মতো ঘটনা দেখা যাচ্ছে। অনেকেই তার বই দেওয়ার ছবি আপলোড করে #DonateBooks সহ তাদের বন্ধুদের ট্যাগ করে তাদেরও অনুপ্রাণিত করছে।

কেউ যদি মেলায় বই নিয়ে নাও যেতে পারেন সেক্ষেত্রে বইগুলো কুরিয়ার করে দিতে পারেন সরাসরি অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশনের এই ঠিকানায়- অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন রোডঃ ২ডি, বাসা- ৫, পল্লবী, মিরপুর, ঢাকা -১২১৬, মোবাইলঃ ০১৭০১৬৬৬৩১২

এছাড়াও পাঠকেরা বইমেলায় গিয়ে বই কেনাকাটার পেমেন্ট বিকাশ করলেই পাবেন প্রকাশকের ২৫ শতাংশ ডিসকাউন্টের পর ১০ শতাংশ ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক। একজন বিকাশ গ্রাহক পুরো ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে সর্বমোট ৩শ টাকা ক্যাশব্যাক নিতে পারবেন। আর ঘরে বসেও যেকোনো সময় মেলার বই কিনতে পারবেন https://www.rokomari.com/book থেকে। রকমারি থেকে ৮শ টাকার বেশি কেনাকাটা করে অনলাইন পেমেন্ট বিকাশ করলে পাবেন ফ্রি ডেলিভারি!

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।