শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মেলা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই মেলায় ছিল উপচেপড়া ভিড়। বিকেলে তা রূপ নেয় জনসমুদ্রে।
এদিন বই বিক্রির হিসাব নিয়ে যেমন ছিল প্রকাশকদের ব্যস্ততা, ঠিক তেমনি মেলায় জমে ওঠা বিভিন্ন আড্ডা থেকে শোনা যাচ্ছিল বিদায়বার্তা। একইসঙ্গে বাংলা একাডেমি ও পুলিশ প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে এবার মাসজুড়ে মেলার সময় কেটেছে নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ। তাই তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অনেকে।
অন্য যে কোনোবারের তুলনায় মেলায় এবার শুরু থেকেই জমজমাট উপস্থিতি ছিল পাঠক দর্শনার্থীদের। প্রথমদিকে ঘুরে ঘুরে তারা বই দেখেছেন। আর এখন যারাই মেলায় আসছেন, বই কিনছেন। শেষবেলার বেচাকেনাতে খুশি প্রকাশকরাও।
এ প্রসঙ্গে জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) হবে শেষদিনের বিকিকিনি। যারা এখনো প্রিয় লেখকের বই সংগ্রহ করেননি, তারা বই কিনবেন। পাঠক-প্রকাশক সবার কাছেই এ দিনটি বেশ কাঙ্ক্ষিত। কারণ আবার এক বছর পর মেলা হবে। তাই পাঠকরা যেমন বই কিনবেন, তেমনি প্রকাশনাগুলোও শেষ মুহূর্তে বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত থাকবে।
লাখো প্রাণের উৎসবে সন্তুষ্টি নিয়েই শনিবার শেষ হবে অমর একুশে গ্রন্থমেলা, এমনটিই প্রত্যাশা সবার। সেই প্রত্যাশা নিয়ে শেষবেলায় পুরোটা সময় মেলাজুড়ে যেমন ছিল দারুণ বিক্রি, তেমনি ছিল বেদনার সুর। অনেকের কণ্ঠে ছিল মেলা শেষের আক্ষেপ। তবে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এবারের মতো আবারও প্রাণোচ্ছ্বল হয়ে উঠবে বাঙালির প্রাণের এ মেলা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০
এইচএমএস/এফএম