ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

বাজে বিদায় রাগিণী

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
বাজে বিদায় রাগিণী মেলায় দর্শনাথীরা। ছবি: ডিএইচ বাদল

গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: প্রকৃতিজুড়ে ফাল্গুনের বন্দনা। গাছের পাতা ঝরে পড়ার পাশাপাশি উদ্যানের এদিক-ওদিক থেকে ভেসে আসছে কোকিলের কুহুতান। রৌদ্রজ্জল সকাল আর বসন্তের দখিনা বাতাসে চমৎকার পরিবেশ। এরই মধ্যে দ্বার খোলা হলো অমর একুশে গ্রন্থমেলার, শুরু হলো বই কেনা। খুবই দ্রুত হচ্ছে কেনাবেচা; কারণ, মেলার সমাপ্তিরেখা এখন দিন পেরিয়ে ঘণ্টায় পরিণত হয়েছে। তাইতো মেলা শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই উপচেপড়া ভিড়ের সঙ্গে জম্পেশ কেনাবেচার মধ্যেও মেলাজুড়ে বাজছে বিদায় রাগিণীর সুর।

বই হাতে দুই তরুণ।  ছবি: বাংলানিউজশনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) শেষ হচ্ছে বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে গ্রন্থমেলা।

মেলার আগের দিন শুক্রবার মেলাজুড়ে যেমন ছিল দারুণ বিক্রি, তেমনি ছিল বেদনার সুর। অনেকের কণ্ঠে ছিল মেলা শেষের আক্ষেপ। সেসঙ্গে আলোচনায় ছিল- কেমন হলো এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলা, সে বিষয়টিও।

এবারের মেলা আয়োজন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এর আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। বইয়ে মগ্ন শিশু। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এবারের মেলার আয়োজন নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। কোনো ধরনের অঘটন ছাড়াই মেলা শেষ হতে যাচ্ছে। এটাই আমাদের মূল সন্তুষ্টির জায়গা।

মেলা নিয়ে সন্তুষ্ট বিভিন্ন প্রকাশকরাও। এ বিষয়ে জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম বলেন, একটা বড় আয়োজন করতে গেলে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকবেই। এবারের মেলায় কোনো বড় ধরনের অঘটন ঘটেনি, এটাই সুখের বিষয়। সেসঙ্গে প্রথম দিন থেকেই এবারের মেলায় বেচাবিক্রি ভালো ছিল, যত দিন গড়িয়েছে বিক্রি ততই ভালো হয়েছে। সবমিলিয়ে এবারের আয়োজন নিয়ে সন্তুষ্ট।

একদিন-দু’দিন করে ফুরিয়ে এলো সময়। ভাষা আন্দোলনের চেতনায় ঋদ্ধ এক মাসের বইমেলায় যে প্রাণের জোয়ার ছিল সেই মিলনমেলা ভাঙবে আজ। পুরো ফেব্রুয়ারি মেলা ঘিরে বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছিল উৎসবের আমেজ। সিসিমপুরে টুকটুকির কথা শুনছে শিশুরা। গতকাল ছুটির দিন হওয়ায় বিকেলের পর থেকেই সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করতে শুরু করেন বইপ্রেমীরা। সন্ধ্যার পরের মেলা ছিল জনারণ্য। আজকেও তেমনটিই প্রত্যাশা সবার। আর শিশুপ্রহর থাকায় গ্রন্থমেলার দ্বার খুলেছে সকাল ১১টা থেকে। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। আর যারা এখনও প্রিয় লেখকের বইটি সংগ্রহ করতে পারেননি, তারা সেটি সংগ্রহ করবেন এই সময়ের মধ্যেই। প্রায় সবাই বাড়ি ফিরবেন ব্যাগভর্তি বই হাতে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
এইচএমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।