ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

শেষ সন্ধ্যায় জমজমাট বইমেলা.

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২০
শেষ সন্ধ্যায় জমজমাট বইমেলা.

গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: ছোট্ট যে শিশুটি হাতে রঙিন বই নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, তাকিয়ে আছে দোকানে সাজিয়ে রাখা মনকাড়া রঙের অন্য বইগুলোর দিকে, এ বছর ও আর এখানে আসবে না। মোটা চশমা চোখে, ধূসর পাঞ্জাবি গায়ে আপাত রাশভারী যে তরুণ ইতিহাসের নতুন বই খুঁজে চলেছেন, বই পেয়ে তার মুখের স্বচ্ছ হাসি জানিয়ে দিচ্ছে, ওই গাম্ভীর্যের ভেতরেও রয়েছে প্রাণোচ্ছলতা। ওই যে ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে তরুণীরা ছবি তুলছেন, তাদের প্রত্যেকের হাতে বইয়ের থলে, এই দৃশ্য দেখা যাবে না এই বছরের আর কোনো দিনে।

শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) শেষ হচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। শেষ দিনের মেলায় মিলেছিলেন পাঠক-প্রকাশক।

আসুক না বিদায়ের ক্ষণ, শূন্য হাতে ফিরতে হচ্ছে না কাউকে। দুই মলাটে বন্দি বই তাদের মনের খোরাক জোগাবে, দীর্ঘ এক বছর অপেক্ষা করার ধৈর্য দেবে।

গ্রন্থমেলার শেষ দিন সন্ধ্যা হতেই নতুন বইয়ের গন্ধে মেতে থাকা অগণিত মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ। যদিও শেষ দিনের মেলায় বিদায়ের সুর, তবুও তালিকা ধরে কেনাকাটা, হাসিঠাট্টা, দল বেঁধে কোনো স্টলে গিয়ে বইয়ের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়া সবই আছে মেলা চত্বরে। যারাই এসেছেন, বাড়ি ফিরেছেন ব্যাগভর্তি বই নিয়ে।

মেলায় আগত পাঠক হাসনাত নাঈম বলেন, লেখক-পাঠকদের যে মিলনমেলা, তা আজ ভাঙবে। সারাবছরতো আর এভাবে প্রিয় লেখকদের সান্নিধ্য পাওয়া যায় না, তাই শেষ সময়ে আবারো এলাম। শেষ সময়ে কিছু বই কিনেই ফেরার ইচ্ছে আছে।

শেষ সময়ে মেলার বিক্রিও ছিল অনেক ভালো। এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন স্টলের বিক্রয় প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, মেলায় শেষ সন্ধ্যায় পাঠকের সংখ্যা অনেক বেশি। বই বিক্রির পরিমাণও বেড়েছে। যারা আসছেন, প্রায় সবাই ফিরছেন অনেক অনেক বই কিনে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
এইচএমএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।