ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

রোববার থেকে কুষ্টিয়ায় লালন স্মরণোৎসব

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২০
রোববার থেকে কুষ্টিয়ায় লালন স্মরণোৎসব

কুষ্টিয়া: ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ এই মর্মবাণী ধারণ করে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় রোববার (০৮ মার্চ) থেকে জাঁকজমক আয়োজনে শুরু হচ্ছে বাউল সাধক ফকির লালন শাহ স্মরণে তিনদিনের দোল পুর্ণিমা স্মরণোৎসব।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা ও লালন একাডেমির আয়োজনে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। রোববার সন্ধ্যায় লালন মুক্তমঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে এ আয়োজনের উদ্বোধন করবেন সাংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।

রোববার থেকে শুরু হয়ে উৎসব চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। ইতোমধ্যেই আখড়াবাড়িতে এসে ঠাঁই নিয়েছেন লালন ভক্ত, অনুসারীরা। জীবদ্দশায় বাউল শিরোমনি লালন শাহ দোল পূর্ণিমার রাতে শিষ্যদের নিয়ে বসতেন সাধুসংঘে। এরই ধারাবাহিকতায় সাঁইজির তিরোধানের পরও কালীগঙ্গার ধারে প্রতিবছর দিবসটি ঘিরে পালিত হয় এ উৎসব।

ব্যক্তি লালনের জাত-পাতের পরিচয় নিয়ে নানা মতভেদ থাকলেও আধ্যাত্মিক সাধক লালন শাহ সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠেছেন তার মানব দর্শনালোকের দ্যুতি ছড়িয়ে। নানা প্রতিকূলতায় বেড়ে ওঠা লালন তার গুরু সিরাজ সাঁইয়ের কাছ থেকে এই ফকিরি দর্শন গ্রহণ করেন। ফকির লালনের সাধন ভজনের তীর্থস্থান হিসেবে ছেঁউড়িয়া গ্রামের আখড়াবাড়ির বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই।

কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার ছেউড়িয়া গ্রামের এই আখড়াবাড়িই ছিল প্রধান অবস্থান এবং এখানে তিনি জীবনের শেষ প্রয়াণ গ্রহণ করেন। তবে বর্তমান সেখানে অবকাঠামোগত উন্নয়নের মধ্যদিয়ে গড়ে উঠেছে লালন একাডেমি। এখানে লালন সমাধিস্থলকে স্মরণীয় করতে ১৯৬২ সালে সমাধি নির্মাণ করা হয়।  

ভক্ত, আশেকান, অনুসারী ও শিষ্যদের মতে, লালন তরুণ বয়সে রোগাক্রান্ত ও অচেতন অবস্থায় ছেঁউড়িয়া গ্রামের কালীগঙ্গার পূর্বপাশের তীরে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় মলম ফকিরের স্ত্রী মতিজান গ্রামের অন্যদের সাহায্যে সেখান থেকে উদ্ধার করেন। বাড়িতে এনে অসুস্থ্য লালনকে সেবা যত্ন করে সুস্থ করে তোলেন। এভাবে সান্নিধ্য লাভের মধ্য দিয়ে মতিজানের স্বামী মলম কবিরাজ নিজেও লালন সাঁইয়ের অনুসারী হয়ে উঠেন।

যেভাবে আসবেন কুষ্টিয়ার লালন মেলায়:
ঢাকা কিংবা দেশের যেকোন স্থান থেকে খুব সহজেই বাসে আসতে পারেন কুষ্টিয়ায়। রয়েছে ট্রেন যোগাযোগও। কুষ্টিয়া বাস টার্মিনাল কিংবা শহরের মজমপুর, চৌড়হাস এলাকায় বাস থেকে নেমে অটোরিকশা/রিকশায় চড়ে খুব সহজেই যেতে পারবেন কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার লালন আখড়াবাড়িতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।