শুক্রবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানে উদীচীর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ দেশ ও দেশের বাইরে থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি অংশ নেন। একই সঙ্গে সন্ধ্যা ৭টায় তার স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়।
স্মরণানুষ্ঠানে সংস্কৃতিকর্মী হাসান আরিফ বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক ও সুপিরিচিত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী। এদেশের সাংবাদিকতা, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কামাল লোহানী শুধু একটি নাম নয়, একটি ইতিহাস। চির বিদ্রোহের অধ্যায়। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলন- সর্বক্ষেত্রে সর্বাগ্রে থাকা মানুষ।
নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, একজন মানুষ হিসেবে কামাল লোহানী যেমন ছিলেন, তেমনটি শুধু রাজনৈতিক, সাংগাঠনিক বা সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে সম্ভব নয়। তিনি ছিলেন রাজনীতি, সংগঠন ও সাংস্কৃতির মেলবন্ধনে তিনি ছিলেন অত্যন্ত দারুণ একজন মানুষ। কখনো কোনো বিষয়ে ভয় পাননি বা দমে যাননি। ভালোবাসতেন সমস্ত সংগ্রামের অগ্রভাগে থাকতে।
সংস্কৃতিকর্মী বদিউর রহমান বলেন, লোহানী ভাই কথা বলতে বলেতে চলে গেলেন। তিনি পরিবর্তনের কথা বলতেন। তার কথা থেকে আমরা শিখতাম। তিনি ছিলেন অত্যন্ত সাদাসিধে মানুষ। তিনি, তার চেতনা ও তার দৃঢ়তা আমাদের মাঝে সারাজীবন জাগরুক থাকবে।
কামাল লোহানীর ছেলে সাগর লোহানী বলেন, বাবা মানুষের কথা ভাবতেন। শেষ সময়ে অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়েও তার ভাবনা থেকে দেশ এবং মানুষ কখনো আলাদা হয়নি। তিনি পরিবর্তনের কথা বলতেন। চাইতেন, সবাই ভালো থাকুক।
উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার বলেন, একটি গণতান্ত্রিক, সমাজতান্ত্রিক ও সেকুলার বাংলাদেশ নির্মাণ করার জন্য লোহানী ভাই সারাজীবন লড়াই করেছেন। তার লড়াইটা আমাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ভাষা সংগ্রামী, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম বাতিঘর, সাংবাদিক, উদীচীর সাবেক সভাপতি কামাল লোহানীর গত ২০ জুন সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২০
এইচএমএস/এএ