বুধবার (১৫ জুলাই) বিকেলে বেতারের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠান হয়। এসময় বেতারের বিভিন্ন বিভাগের শিল্পী কলাকুশলী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিদায়ী আঞ্চলিক পরিচালক ফখরুল করিম বলেছেন, ‘যতদিন এখানে দায়িত্ব পালন করেছি শিল্পীদের কাছে টানার চেষ্টা করেছি, কারণ শিল্পীরাই হচ্ছে বেতারের মূল প্রাণ। তাদের সঙ্গে নিয়ে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম জনসাধারণের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা শুরুর পর থেকে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নানা অনুষ্ঠান প্রচার করে যাচ্ছে কক্সবাজার বেতার। বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবস্থানের কারণে এ কেন্দ্রের গুরুত্ব দিনদিন বাড়ছে। সবার সহযোগিতায় এ প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে হবে। ’
নবাগত আঞ্চলিক পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমানুর রহমান খান বলেন, ‘বেতার শিল্পীদের প্রতিষ্ঠান। আমরা কিছুদিন দায়িত্ব পালনের জন্য এখানে আসি। শিল্পীরাই স্থায়ীভাবে বিচরণ করেন এখানে। সুতরাং শিল্পীদেরই এ প্রতিষ্ঠানকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘এ কেন্দ্রে আমি আগেও কাজ করেছি। এখানকার সবকিছুই আমার চেনা-জানা। তখন দায়িত্ব পালন করার সময় সবার কাজ থেকে যেরকম সহযোগিতা পেয়েছি, সেরকম সহযোগিতা নিয়েই এ প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে চাই। ’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কক্সবাজার বেতারের উপ-আঞ্চলিক প্রকৌশলী মো. রাশেদুল আজম সিকদার, সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) কাজী মো. নুরুল করিম, সহকারী আঞ্চলিক প্রকৌশলী মেহেরাজ আহমেদ, কক্সবাজার বেতারশিল্পী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাট্যকার স্বপন ভট্টাচার্য, বেতারের সংগীত প্রযোজক বশিরুল ইসলাম, অনুষ্ঠান ঘোষক কবি সিরাজুল হক সিরাজ, অধ্যাপক অনুষ্ঠান ঘোষক নীলোৎপল বড়ুয়া, রেডিও অ্যানাউন্সারস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক সুনীল বড়ুয়া, অনুষ্ঠান ঘোষক ও সংবাদ পাঠক শামীম আক্তার, রেডিও টেকনেসিয়ান পলাশ কুমার কুণ্ডু, সোহেল রানা, যন্ত্রশিল্পী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরমান রেজা, মো. রিদুয়ানুল হক, অনিয়মিত শিল্পী কেংগ্রী রাখাইন, ববিতা রাণী দাশ প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বেতারের উপস্থাপক রোজিনা আকতার রোজী।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২০
এসবি/এফএম