রাউন্ড রবিনে শীর্ষ দুইয়ে না থাকায় এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম। ম্যাচটিতে জিতলেই কোয়ালিফায়ার-২ এর টিকেট পেতো ঢাকা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ঢাকার বোলারদের উপর চড়াও হয় চট্টগ্রাম। ক্রিস গেইল স্বভাববিরুদ্ধ ব্যাটিং করলেও ঝড় তুলেন আরেক ওপেনার জিয়াউর রহমান। ১২ বলে ২৫ রান করে দলীয় ৪২ রানে তিনি বিদায় নেন মেহেদী হাসানের বলে। এরপর দলকে এগিযে নেওয়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন ইমরুল কায়েস।
কিন্তু দলীয় ৯১ রানে ২২ বলে ব্যক্তিগত ৩২ রান করে তার ফেরার পরপরই গেইলকেও হারিযে ফেলে চট্টগ্রাম। ক্যারিবিয়ান তারকা তার স্বভাববিরুদ্ধ ব্যাটে ৪৯ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৩৮ রান।
দ্রুত দুই ব্যাটসম্যানকে তুলে ম্যাচ জমিয়ে দেয় ঢাকা। তবে চট্টগ্রামকে কোনো দূর্ঘটনার শিকার হতে দেয়নি মাহমুদউল্লাহ ও চাদভিক ওয়াল্টনের ব্যাট। দুজনের ৫৫ রানের জুটিতে ৩ উইকেটে ১৪৭ রান করে জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম।
হাতের সেলাই নিয়ে ৪ ওভার বল করেছেন মাশরাফি। ৩৩ রান দিলেও কোনো উইকেট পাননি তিনি। তবে উজ্জ্বল ছিলেন শাদাব খান। ব্যাটিংয়ে ফিফটির পর ২টি উইকেটও নিয়েছেন তিনি।
এর আগে মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৪ রান করে ঢাকা। শুরু থেকে বিপর্যয়ে পড়া ঢাকার ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল (৩), এনামুল হক বিজয় (০), মেহেদী হাসান (৭) ছিলেন ব্যর্থ।
স্কোরবোর্ডে ৬০ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারায় ঢাকা। এর মধ্যে মুমিনুল করেন ৩১ রান। অষ্টম উইকেট জুটিতে শাদাব ও থিসারা পেরেরার ব্যাটে ভর করেই ঢাকা দলীয় তিন অঙ্কের ঘর পার করে। পেরেরা ১৩ বলে ২৫ রান করে আউট হন।
ধারণা করা হচ্ছিল, হাতে সেলাই নিয়ে অন্তত ব্যাট করতে নামবেন না মাশরাফি। তবে দলের প্রয়োজনে শাদাবকে সঙ্গ দিতে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন ঢাকার অধিনায়ক। তবে দুই বলের মুখোমুখি হলেও কোনো রান না করে ইনিংসের শেষ পযর্ন্ত অপরাজিত ছিলেন তিনি।
ঢাকা লড়াকু ইনিংস পায় শাদাবের ব্যাটে ভর করে। ৩৬ বলে দারুণ এক অর্ধ-শতক তুলে নেন তিনি। শাদাব ৪১ বলে ৬৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
ইউবি