শনিবার (১৫ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শাহরিয়ার আলম বলেন, যতো দূর জানি সাপ নিরীহ প্রাণীদের একটা। এরা শুধুমাত্র আঘাত পেলে ছোবল দেয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কয়েকদিন থেকে দেখছি রাজশাহী থেকে শুরু করে বাংলাদেশের আনাচে কানাচেতে সাপ খুঁজে খুঁজে মারা হচ্ছে। না বুঝে নতুন করে মানুষ সাপ মারতে উৎসাহিত হচ্ছে। এসব জায়গার কোথাও সাপের বিষে সম্প্রতি কেউ মারা গেছেন তা শোনা যায়নি, অথচ নিধন চলছেই।
এই প্রাণীটির অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা জানেন কি প্রাকৃতিক ভারসাম্য ধরে রাখতে সাপের কি অবদান? পোকামাকড়, কীটপতঙ্গ সাপের প্রধান খাবার। সাপ এগুলো না খেলে আমরা হয়ত টিকতে পারতাম না। ইঁদুরের গর্তে ঢোকে সাপ সেগুলো ধরার জন্য। যেসব জায়গায় সাপ ধরে ধরে মারা হচ্ছে সেসব জায়গায় আগেও সাপ ছিল, বাচ্চা হতো। সেই সাপগুলো ইঁদুর নিধন করতো। এমন নিধন চলতে থাকলে এই জায়গাগুলো ইঁদুরের দখলে চলে যাবে। আর ইঁদুর যে কি ক্ষতি করতে পারে তা আমরা সবাই জানি এবং বুঝি।
শাহরিয়ার আলম আহ্বান জানিয়ে বলেন, ঝুঁকি মনে হলে বাসায় কার্বলিক এসিড রাখবেন। খুব সমস্যা মনে হলে সাপ ধরে (গ্রামে সাপ ধরার মানুষ পাওয়া যায়) বন বিভাগ বা প্রাণী বিভাগে দিয়ে দেবেন কিন্তু অযথা মেরে নতুন বিপদ ডেকে আনবেন না দয়া করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৭
কেজেড/আইএ