উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, অবস্থা খুব যে ভালো সেটা বলা যাবে না। মুখে যেহেতু খাবার গ্রহণ করতে পারছে না, তাই তাকে গ্লুকোজ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে।
রাতে খায় কিনা দেখা যাক। দিনে হয়তো মানুষের ভিড় দেখে নার্ভাস হয়ে নাও খেতে পারে। জানান এই ভেটেরিনারি সার্জন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যার আগে দেখা যায় রাজলক্ষ্মীর শরীরে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। হাতিটিকে দেখতে চারপাশে প্রচুর মানুষের ভিড়।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মিহির কুমার দো বাংলানিউজকে বলেন, হাতিটিকে দেখতে আমি মৌলভীবাজার জেলার ভেটেরিনারি সার্জনকেও নিয়ে গিয়েছিলাম। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের কথা বলে যেটা বুঝলাম ট্রাক থেকে নামানোর সময় হাতির মেরুদণ্ডের যে বোন থাকে সেটা ডিসপ্লেস হয়ে গেছে এবং স্পাইনাল কডেও সম্ভবত ইঞ্জুরি দেখা দিয়েছে। এজন্য তার পেছনের অংশটা তুলতে পারছে না।
হাতি অত্যন্ত শক্তিশালী প্রাণী। ছোট-খাটো কোনো আঘাতে সে কখনই কাবু হয়ে পড়ার কথা নয়। দু-এক দিনের মধ্যে রিকভার করবে সেটাও আমরা প্রত্যাশা করছি না। এটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। দেখা যাক কি হয়। আমরা সর্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। জানান বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগের ডিএফও।
** ‘রাজলক্ষ্মী’র পরম সেবায় নাইওর মিয়া
** নড়াচড়া করছে ‘রাজলক্ষ্মী’
** সুস্থ হয়ে উঠবে তো ‘রাজলক্ষ্মী’?
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
বিবিবি/এএ