তবে ঘূর্ণিঝড়ের এতো অসুবিধার মধ্যেও প্রাকৃতিক আরেক বিপর্যয় বজ্রপাত কিন্তু চায়ের জন্য উপকারী। এতে মাটি তার প্রয়োজনীয় উর্বরতাটুকু লাভ করে।
জানা যায়, দক্ষিণমেরুর গরম আর উত্তরমেরুর ঠাণ্ডা বাতাসে বায়ুমণ্ডলের অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি হয়ে বজ্র মেঘের রূপ নেয়। মেঘের সঙ্গে মেঘের ঘর্ষণে তৈরি হয় বজ্র। যা উচ্চ ভোল্টের বৈদ্যুতিক তরঙ্গরূপে আকাশ থেকে মাটিতে নেমে আসে। মাটিতে নেমে আসার এই প্রক্রিয়াটি অতিমাত্রায় ভয়াবহ এবং প্রাণহানিকর।
অভিজ্ঞ টি-প্ল্যান্টার ও বারোমাসিয়া চা বাগানের সিনিয়র ব্যবস্থাপক হক ইবাদুল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি বজ্রপাত চা বাগানের জন্য উপকারী। এর ফলে মাটি তার প্রয়োজনীয় উপাদানটুকু লাভ করে।
তিনি বিশ্লেষণ করে বলেন, বজ্রপাত বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেনগুলোকে ভেঙে আলাদা করে ফেলে। তারপর নাইট্রেড আকারে বৃষ্টির পানির সঙ্গে মাটির ভেতরে প্রবেশ করে। তারপর সেই নাইট্রোজেন উপাদানগুলোকে চা গাছগুলো গ্রহণ করে। এটা একটি বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া। যা মৃত্তিকা ও উদ্ভিদ বিজ্ঞানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
চা বাগানের সেকশনগুলোতে স্ত্রী মশার প্রকোপ খুব বেশি। এ মশা কিন্তু প্রচণ্ড ক্ষতিকর। তবে এরা রক্ত খায় না। চা গাছের পাতার রস খেয়ে চা গাছকে দুর্বল করে দেয়। ঘূর্ণিঝড় এলে চা বাগানে ডালপালা ভাঙার পাশাপাশি এই ক্ষতিকর মশাগুলোকে এক সেকশন থেকে অন্য সেকশনে উড়িয়ে নিয়ে যায় বলে জানান সিনিয়র ব্যবস্থাপক হক ইবাদুল।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৪ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৯
বিবিবি/এএ