সম্প্রতি মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরে ধরা পড়লো বিশালাকৃতির একটি বোয়াল মাছ। এটি সম্ভবত এ জলাশয়ের প্রাচীনতম মাছের একটি।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, শুক্রবার (১৭ মে) ভোরে আবু সাঈদ নামে উত্তর জাঙ্গিরাই গ্রামের এক বাসিন্দা পলো নিয়ে হাঁটু এবং কোমর সমান পানিতে নেমে হাওরে মাছ ধরতে যান। পলোতে মাছ খুঁজতে খুঁজতে কম পানিতে বিশালাকৃতির বোয়ালটি তিনি প্রথম দেখতে পান। তারপর অনেক প্রচেষ্টা চালিয়ে সাঈদ মাছটিকে আটক করেন।
এই বোয়াল মাছটিকে বাড়িতে নিয়ে আসার পর লোকজন এসে ভিড় করতে থাকে। পরে তিনি মাছটি কেটে নিজের প্রয়োজনীয় অংশ রেখে বাকি অংশ আত্মীয়স্বজনের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করেছেন। এ মাছ ধরাকে স্থানীয়ভাবে ‘উজাই’ ধরা বলা হয়।
প্রতি বছর এ সময়টাতে বৃষ্টির পর হাওরের ভাসান পানিতে এ রকম মাছ পাওয়া যায়। বৃষ্টি, বর্জ্রপাত ও নির্ধারিত তাপমাত্রায় মা-মাছগুলো ডিম ছাড়ার উদ্দেশ্যে নদী অথবা হাওরে স্রোতের বিপরীতে ছুটতে থাকে এবং আশপাশের ছোট খাল-বিলে আশ্রয় নেয়। তখন এ সুযোগে লোকজন এসব মাছ ধরতে নেমে পড়েন বলে মৎস্য বিভাগ সূত্র জানায়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবং মৎস্য গবেষক মোহাম্মদ এমদাদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, এ প্রজাতির মাছগুলোকে আমরা ‘Catfish’ বলি। কেটফিস মানে ওর মুখ ও ঠোঁটের চারদিক বিড়ালের মতো গোঁফ থাকে। এদের কিছু প্রজাতির মাঝে বর্জ্রপাতের বিদ্যুৎ সঞ্চারিত হয়। তখন তারা মেঘের তীব্র গর্জন শুনে ডাঙার দিকে এগিয়ে আসার চেষ্টা চালায়।
এছাড়াও কৈ, চিতল প্রভৃতি মাছের ক্ষেত্রে অনেক সময় এমন অবস্থা হয়। এ ব্যাপারে আমাদের কাছে তেমন সমৃদ্ধ তথ্য নেই। এ চাঞ্চল্যকর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল হক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৯
বিবিবি/এসএইচ