সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কাজীরবাগ ইকোপার্কে অবমুক্ত করার কয়েক ঘণ্টা পর হরিণটি মারা যায়।
সোনাগাজী উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মুন্সী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দুপুরে উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর থেকে এলাকাবাসী হরিণটিকে আটক করে। খবর পেয়ে সোনাগাজী থানা পুলিশ হরিণটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন।
জসিম উদ্দিন মুন্সী জানান, এলাকাবাসী আটক করার সময় চিত্রা হরিণটি সামান্য আহত হয়। আহত হরিণটি চিকিৎসা ও অবমুক্ত করার জন্য বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে বন বিভাগকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। বুঝে নেওয়ার পর দ্রুত জেলা প্রাণি সম্পদ অফিসে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। কিন্তু জেলা প্রাণি সম্পদ অফিসটি বন্ধ থাকায় চিকিৎসকের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও কোনো চিকিৎসক পাওয়া যায়নি। ফলে প্রায় ৬০ কেজি ওজনের আহত হরিণটি সন্ধ্যায় চিকিৎসার অভাবে মারা যায়।
বন বিভাগের ফেনী সদর উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা তপন চন্দ্র দাস বলেন, হরিণটা ধরার সময় আহত হয়েছিলো। এরপর দীর্ঘ সময় সোনাগাজী মডেল থানায় চিকিৎসাহীন অবস্থায় ছিলো। ইকোপার্কে এনে ছাড়া হলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আর উঠতে পারেনি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হরিণটি মারা যায়। হরিণটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছে। বুধবার (২২ মে) সকালে ময়নাতদন্ত করা হবে।
সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল পারভেজ বলেন, হরিণটির মৃত্যুর জন্য কারো দায়িত্ব অবহেলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২৮ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৯
এসএইচডি/আরবি/