আন্তর্জাতিক মিডিয়া অর্গানাইজেশন ইন্টারনিউজের তত্ত্বাবধানে এ ফেলোশিপের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন সংক্রান্ত নির্দিষ্ট প্রতিবেদন তৈরির জন্য এ ফেলোশিপ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল নিয়ে সাংবাদিকতায় একটি ভিন্ন ধারা তৈরি করেছেন রফিকুল ইসলাম মন্টু। তার কাজের ক্ষেত্র সমগ্র উপকূলের ঝুঁকিতে থাকা ১৬ জেলা। জেলাগুলো হচ্ছে: কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ঝালকাঠি, শরীয়তপুর, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা।
এসব জেলার প্রান্তিক জনপদ ঘুরে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে গভীর অনুসন্ধানের মাধ্যমে উপকূল এলাকার মানুষের কণ্ঠ তুলে এনে খবর তৈরি করছেন। লিখছেন উপকূলের পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ, নাগরিক সেবা, জনজীবনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। তার কাজের মধ্যদিয়ে সর্ব মহলে পরিচিতি পেয়েছে ‘উপকূল সাংবাদিকতা’। নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকেরা উপকূলভিত্তিক সাংবাদিকতায় উৎসাহী হয়ে উঠছেন।
দীর্ঘ সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশায় রফিকুল ইসলাম মন্টু। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, সমকাল, মানবজমিন, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর, দৈনিক সংবাদ, ভোরের কাগজ, বাংলাবাজার পত্রিকাসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কাজ করেছেন তিনি।
কাজের স্বীকৃতি হিসাবে রফিকুল ইসলাম মন্টু ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি বেস্ট রিপোর্টিং আওয়ার্ড পেয়েছেন তিনবার। ইউনিসেফ-মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনবার। পিআইবি-এটুআই মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন দু’বার। এছাড়াও পিআইবি-ইউনিসেফ ফিচার পুরস্কার, সরেজমিন প্রতিবেদনের জন্য চারণ সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন স্মৃতি পুরস্কার, জনসংখ্যা বিষয়ক প্রতিবেদনের জন্য এফপিএবি পুরস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রতিবেদনের জন্য বিসিডিজেসি-কানাডিয়ান অ্যাওয়ার্ড, দুর্যোগ বিষয়ক প্রতিবেদন লেখার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরো’র অ্যাওয়ার্ডসহ প্রায় ২০টি পুরস্কার অর্জন করেন।
তার পুরস্কারপ্রাপ্ত সবগুলো প্রতিবেদন উপকূলীয় ইস্যু নিয়ে লেখা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২০
এএ