আফগানিস্তানের উদ্বোধনী জুটি বাংলাদেশ ভাঙতে পারলো না লম্বা সময়। বড় রানের ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে অবশ্য শেষ অবধি ছিল ধরাছোঁয়ার ভেতরই।
শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ১৪২ রানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩১ রান করে সফরকারীরা। জবাব দিতে নেমে ৪৩ ওভার ২ বল খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান করে বাংলাদেশ। বোলিংয়ে চোট পাওয়া এবাদত নামেননি ব্যাটিংয়ে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় আফগানিস্তান। দুই উদ্বোধনী ব্যাটার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইবরাহিম জাদরান খেলতে থাকেন নির্ভরতার সঙ্গে। ঘরের মাঠে ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৩০ ওভারের ভেতর উইকেট নিতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ, গুরবাজ পান সেঞ্চুরির দেখা।
ওয়ানডেতে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় উদ্বোধনী জুটি পায় আফগানরা। ৩৬তম ওভারে এসে ২৫৬ রানের জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। ততক্ষণে ১৩ চার ও ৮ ছক্কার ইনিংসে ১২৫ বলে ১৪৫ রান করেছেন গুরবাজ।
বড় জুটি ভাঙার পর দ্রুতই আরও দুটি উইকেট নেয় বাংলাদেশ। পুল করতে গিয়ে এবাদত হোসেনের বলে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৫ বলে ২ রান করে ফেরেন রহমত শাহ। এরপর ৭ বলে ২ রান করা হাশমাতুল্লাহ শহিদীকে বোল্ড করেন মিরাজ।
একপ্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরি তুলে নেন ইবারাহিম জাদরান। ৯ চার ও ১ ছক্কায় ১১৯ বলে ঠিক ১০০ রান করে মোস্তাফিজের বলে ক্যাচ দেন তিনি। শেষদিকে আফগান ব্যাটারদের ব্যর্থতা ও বাংলাদেশের বোলারদের ভালো বোলিংয়ে রান সাড়ে তিনশ ছুঁতে পারেনি। ৯ উইকেটে ৩৩১ রানে থামে আফগানরা। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজ, হাসান মাহমুদ, সাকিব ও মিরাজ। বাকি একটি উইকেট এবাদত হোসেনের।
জবাব দিতে শুরু থেকেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ফজল হক ফারুকীর করা প্রথম ওভার মেডেন দেন দলে ফেরা নাঈম শেখ। এই ব্যাটার ২১ বলে ৯ রান করে ফারুকীর বলেই বোল্ড হন। এর আগে আউট হয়ে যান লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৫ বলে ১৩ রান করে ফারুকী বলে ক্যাচ দিয়ে লিটন আর ৫ বলে এক রান করে আউট হন শান্ত।
২৫ রানে তিন উইকেট হারানো দলকে ৪০ রানের জুটিতে কক্ষপথে ফেরানোর চেষ্টা করেন তাওহীদ হৃদয় ও সাকিব আল হাসান। কিন্তু কেউই নিজেদের ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ৩৪ বলে ১৬ রান করে রশিদ খানের বলে বোল্ড হয়ে হৃদয় ও ২৯ বলে ২৫ রান করে আউট হয়ে যান সাকিব।
দুই সিরিজ বাদে দলে ফেরা আফিফ হোসেন প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয়টিতেও ব্যর্থ হন। নিজের খেলা প্রথম বলেই রশিদের ওভারে নবীর হাতে ক্যাচ দেন।
এরপর সপ্তম উইকেট জুটিতে মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুশফিকুর রহিমের ৮৭ রানের জুটি কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। ৪৮ বলে ২৫ রান করে মুজিবের বলে মিরাজ ক্যাচ দিলে ভাঙে এই জুটি। ফারুকীর বলে নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৮৫ বলে ৬৯ রান করেন মুশফিক।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২৩
এমএইচবি/এমএইচএম