ঢাকা, শনিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাতি আছে আলো নেই এমএ মান্নান ফ্লাইওভার এলাকায়

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা, মে ৮, ২০১৭
বাতি আছে আলো নেই এমএ মান্নান ফ্লাইওভার এলাকায় বহদ্দারহাটের এমএ মান্নান ফ্লাইওভারের বাতি আছে, আলো নেই। ছবি: উজ্জ্বল ধর, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: বহদ্দারহাটের ‘দোতলা সড়ক’র দুপাশে বাতি আছে। সড়কের নিচেও বাতি লাগানো হয়েছে। কিন্তু আলো নেই। ব্যস্ত সড়কের দুপাশের দোকানপাট বন্ধ হলেই ভুতুড়ে পরিবেশ। গা ছমছম করে।

সোমবার (০৮ মে) রাত সাড়ে ১০টায় সরেজমিন পরিদর্শনকালে বাংলানিউজকে এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা অমিত সেনগুপ্ত।

মোড়ের ‘ভাতঘর’র পাশে চা বিক্রি করেন তরুণ আজমল হোসেন।

বললেন, অনেক বছর ধরে দেখছি ফ্লাইওভারের উপরের-নিচের কোনো বাতিই জ্বলে না।

ফ্লাইওভারের দুই পিলারের মাঝখানে বেশ চওড়া জায়গা নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে নার্সারি।

সেখানে কিছু ছিন্নমূল মানুষের জটলা। রাতযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কেউ কেউ। ক্যাশ কাউন্টারে কথা হয়, এক বৃদ্ধার সঙ্গে। নিজেকে ঠেলাগাড়িওয়ালা পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন, এখানে বাতি জ্বালাবে কে! নার্সারি মালিক কিছু বাতি জ্বালাচ্ছেন তা-ই ভরসা।

ফ্লাইওভারের ওপরেই টেম্পু দাঁড় করিয়ে বিশ্রাম করছিলেন রাঙ্গুনিয়ার মো. ইসকান্দর। তিনি বলেন, বহদ্দারহাট মোড় এলাকার অভিভাবক নেই। এখানে সড়কবাতি নেই কম করে হলেও অর্ধযুগ হবে। যত চোর-ডাকাতের আড্ডা ফ্লাইওভারের অন্ধকারে।

বহদ্দার হাট ফ্লাইওভারে জ্বলছে না একটি বাতিও।  ছবি উজ্জ্বল ধর

গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ফ্লাইওভারে ‘হাওয়া খেতে’ এসেছিলেন শুলকবহর এলাকার বাসিন্দা আজিজুর রহমান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, অনেক মর্মান্তিক স্মৃতিবিজড়িত এ ফ্লাইওভার উদ্বোধন হয়েছে ২০১৩ সালে। ১০৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হলেও ১ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটিতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৪৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এখন তো লুপ নামানোর কাজ চলছে। বাস্তবতা হচ্ছে সন্ধ্যা হলেই এখানে গ্রামীণ আবহ বিরাজ করে। এত আঁধার তাড়াবে কে?

যোগাযোগ করলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এমএ মান্নান ফ্লাইওভারটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) হস্তান্তর করা হয়েছে। বাতির বিষয়টি চসিকই দেখবে।

তবে চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ঝুলন কুমার দাশ বাংলানিউজকে বলেন, বহদ্দারহাটের এমএ মান্নান ফ্লাইওভারটি সিডিএ বুঝিয়ে দেয়নি। ফ্লাইওভার করার সময় পিডিবির খুঁটির সঙ্গে যেসব স্ট্রিট লাইট ছিল তা-ও সিডিএ অপসারণ করেছে। যখন একেবারে বুঝিয়ে দেবে তখন চসিক স্ট্রিট লাইট রক্ষণাবেক্ষণ করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।