সোমবার (০৮ মে) রাত সাড়ে ১০টায় সরেজমিন পরিদর্শনকালে বাংলানিউজকে এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা অমিত সেনগুপ্ত।
মোড়ের ‘ভাতঘর’র পাশে চা বিক্রি করেন তরুণ আজমল হোসেন।
ফ্লাইওভারের দুই পিলারের মাঝখানে বেশ চওড়া জায়গা নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে নার্সারি।
ফ্লাইওভারের ওপরেই টেম্পু দাঁড় করিয়ে বিশ্রাম করছিলেন রাঙ্গুনিয়ার মো. ইসকান্দর। তিনি বলেন, বহদ্দারহাট মোড় এলাকার অভিভাবক নেই। এখানে সড়কবাতি নেই কম করে হলেও অর্ধযুগ হবে। যত চোর-ডাকাতের আড্ডা ফ্লাইওভারের অন্ধকারে।
গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ফ্লাইওভারে ‘হাওয়া খেতে’ এসেছিলেন শুলকবহর এলাকার বাসিন্দা আজিজুর রহমান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, অনেক মর্মান্তিক স্মৃতিবিজড়িত এ ফ্লাইওভার উদ্বোধন হয়েছে ২০১৩ সালে। ১০৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হলেও ১ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটিতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৪৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এখন তো লুপ নামানোর কাজ চলছে। বাস্তবতা হচ্ছে সন্ধ্যা হলেই এখানে গ্রামীণ আবহ বিরাজ করে। এত আঁধার তাড়াবে কে?
যোগাযোগ করলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এমএ মান্নান ফ্লাইওভারটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) হস্তান্তর করা হয়েছে। বাতির বিষয়টি চসিকই দেখবে।
তবে চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ঝুলন কুমার দাশ বাংলানিউজকে বলেন, বহদ্দারহাটের এমএ মান্নান ফ্লাইওভারটি সিডিএ বুঝিয়ে দেয়নি। ফ্লাইওভার করার সময় পিডিবির খুঁটির সঙ্গে যেসব স্ট্রিট লাইট ছিল তা-ও সিডিএ অপসারণ করেছে। যখন একেবারে বুঝিয়ে দেবে তখন চসিক স্ট্রিট লাইট রক্ষণাবেক্ষণ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৭
এআর/টিসি