ঢাকা, শনিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নগর ভবনের সামনেই সড়কবাতি নষ্ট

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, মে ৮, ২০১৭
নগর ভবনের সামনেই সড়কবাতি নষ্ট নগরজুড়ে সড়কবাতির বেহাল হাল। ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: এসএস খালেদ সড়কের আসকার দীঘির উত্তর-পশ্চিম কোণায় সড়ক বাতিটি জ্বলছে না। একটু পূর্বদিকে এগোলেই সার্সন রোডের সংযোগস্থল, সড়কদ্বীপ। সেখানে পাঁচটি সড়কবাতিই জ্বলছে না।

মোমিন রোডের শাহ আনিস মসজিদের সামনের সড়কবাতির আলো নেই। হেমসেন লেনের পরের মোড়েও একই অবস্থা।

ঝাউতলার ফটকেও একই দৃশ্য। রহমতগঞ্জের মোড়ের বাতি নষ্ট।
খোদ সিটি করপোরেশন ভবনের দক্ষিণ-পূর্ব কোণায় জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট মাতৃসদনের সামনের এক খুঁটিতে দুটি সড়ক বাতির একটি নষ্ট।

সোমবার (০৮ মে) দিনগত রাতের চিত্র এটি। এখানেই শেষ নয়। গণি বেকারি থেকে কলেজ রোড ধরে হোস্টেল গেট পর্যন্ত গা শিউরে উঠবে পথচারীদের। ছড়া-কবিতার ছন্দের মতো তিনটি খুঁটির ছয়টি বাতিই জ্বলছে না। তারপর বিরতি। এরপর আবার দুটি খুঁটির চারটি বাতি জ্বলছে না। তারপর একপাশ জ্বলে তো ওপাশ জ্বলে না। কাপাসগোলা সড়কের শতকরা ৯০ ভাগ বাতিই নষ্ট

ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম কলেজের প্রশাসনিক ভবনের দেয়ালে সবুজ রঙে জ্বলজ্বল করছে ‘জ্ঞানে কর্মে সৃজনে ঐতিহ্যে চট্টগ্রাম কলেজ’ স্লোগানসহ মনোগ্রামটি। তার সামনেই সড়কবাতির বেহাল অবস্থা। দুটি খুঁটিতে চারটি বাতি জ্বলছে না। এরপর একপাশের বাতি জ্বলে, ওপাশেরটি জ্বলে না। একটু এগোলেই দেব পাহাড় মোড়। ওপাশে চট্টগ্রাম কলেজ ক্যানটিন গেট। সামনের সড়কবাতি জ্বলছে না। হোস্টেল গেটের সামনের সড়ক বাতি জ্বলছে না। প্যারেডের উত্তর পাড়ের সড়কটিতে মাত্র একটিই জ্বলছে।

চন্দনপুরার বাসিন্দা আজিজুল হক হেঁটেই যাচ্ছিলেন চট্টগ্রাম কলেজের সামনে দিয়ে। বাংলানিউজকে ক্ষোভের সঙ্গে বললেন, মাঝেমধ্যে মনে হয় লাইটগুলো নিভিয়ে রাখার সঙ্গে ছিনতাইকারী চক্রের যোগসাজশ থাকলেও থাকতে পারে। নয়তো আলোকায়ন বাবদ পৌর কর দিয়েও কেন প্রধান সড়কগুলোতে আলোর দেখা পাবো না। ভূতের গলি হয়ে থাকবে অলিগলিগুলো। ডিসি হিল সংলগ্ন সড়কে নিজের অর্থায়নে সবুজ আলো ছড়াচ্ছেন কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন

‘চকবাজারের অবস্থাটা বেশ করুণ। সোলায়মান আলম শেঠের বাড়ির সামনের সড়কে সোডিয়াম লাইটের খোলসে ঝুলছে নিষ্প্রাণ এনার্জি বাল্ব। বেশিরভাগ সড়কবাতিই নষ্ট। অলি খাঁ মসজিদ থেকে কাপাসগোলা সড়ক হয়ে বহদ্দারহাট মোড় পর্যন্ত শতকরা ৯০ভাগ সড়ক বাতিই নষ্ট। ১০-২০টি পর হয়তো একটি বাতি জ্বলে। ’ চক সুপার মার্কেটের সামনে মেয়েকে নিয়ে সিএনজি অটোরিকশা থেকে নামতে নামতে বললেন গৃহিণী কুলসুমা বেগম।

আলোকায়ন ও সবুজায়নে অন্যরকম খ্যাতি পাওয়া জামালখান হেলদি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনকে প্রশ্ন করা হলে বাংলানিউজকে বলেন, আমার ওয়ার্ডে ৫৫৫টি সড়কবাতি আছে। এর মধ্যে এনার্জি বাল্ব আছে ৩৬০টি। বাকিগুলো টিউবলাইট। বেশ কিছু বাতি কালবৈশাখী ঝড়সহ নানা কারণে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। আজ (সোমবার) সকালে আমরা ৩০টি টিউবলাইট, ২০টি চক, ১০০টি স্ট্যাটার পেয়েছি। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।

তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ডিসি হিলের পাদদেশে ফুটপাতের পাশে সবুজ বাতি লাগিয়েছি অনেক। এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে সড়কবাতির প্রয়োজন হলে নিজের টাকায় কিনে দিচ্ছি। তারপর ইলেকট্রনিকস সামগ্রী হওয়ায় খুব বেশি ভরসা করা যাচ্ছে না।

চকবাজার থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত সড়কটির সড়কবাতির বেশিরভাগই নষ্ট থাকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ঝুলন কুমার দাশ বাংলানিউজকে বলেন, সড়কটি সিডিএ আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন। গত সপ্তাহেও বেশিরভাগ বাতি জ্বলেছিল। এখন হয়তো সংস্কার করতে হবে।

বাতি আছে আলো নেই এমএ মান্নান ফ্লাইওভার এলাকায়

বাংলাদেশ সময়: ০১২৬ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।