সোমবার (২৯ মে) সকাল নয়টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলার পর সকাল ১০টা থেকে পণ্য খালাস বন্ধের নোটিশ ইস্যু করা হয়। সন্ধ্যা ছয়টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭ নম্বর সংকেত ঘোষণার পর চট্টগ্রাম বন্দরের যা যা করণীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, বহির্নোঙর ও জেটির জাহাজে লোড-আনলোড বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিদেশ থেকে বড় জাহাজে বহির্নোঙরে চাল, গম, কয়লা, ক্লিংকার ইত্যাদি খোলা পণ্য আনার পর ছোট ছোট জাহাজে (লাইটার) খালাস করে নদীপথে বিভিন্ন কারখানা ও বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। এসব লাইটার জাহাজ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব রশীদ বাংলানিউজকে জানান, সকাল থেকে বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। বড় জাহাজগুলো কক্সবাজার-কুতুবদিয়ার দিকে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সোমবার (২৯ মে) সকাল নয়টায় জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। সকাল নয়টায় মোরা’র চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা থেকে ৫৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব এবং পায়রা থেকে ৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিকে অবস্থান করছিল।
উপকূলে এবার ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’, জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা
ধেয়ে আসছে মোরা, ৭ নম্বর বিপদ সংকেত চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে
ঘূর্ণিঝড় মোরা মোকাবেলায় প্রস্তুত মোংলা বন্দর
বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, আপডেট ১৯১৫ ঘণ্টা, ২৯ মে, ২০১৭
এআর/এমইউ/টিসি