শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দক্ষিণে বালুখালী এলাকায় কথা হয় সাইফুল্লার সঙ্গে। তখনও ছেলের কাঁধে ছিলেন বৃদ্ধা মা।
সাইফুল্লাহ জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুর রাচিদং এলাকার ধইনচা পাড়ায় তাদের বাড়ি।
বাংলানিউজকে সাইফুল্লাহ বলেন, আমার মা হাঁটতে পারেন না। পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে ৪ বছর ধরে বিছানায় পড়ে আছেন। বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার পর জান হাতে নিয়ে পালিয়ে এসেছি। মাকে কাঁধে নিয়ে ২৯ মাইল হাঁটতে হয়েছে। এরপর নৌকা ভাড়া করে এপারে এসেছি।
‘আসার সময় পথে দেখেছি, অনেকে হাঁটতে না পারায় বৃদ্ধ বাবা-মাকে রাস্তার পাশে ফেলে চলে আসছে। কিন্তু আমি পারিনি। আমি মাকে কাঁধে করেই নিয়ে এসেছি। ’
সাইফুল্লার বাবা আবুল খায়ের নিজের বয়স ১১০ বছর বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, আমার স্ত্রী হাঁটতে পারে না। আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। কোন উপায় না পেয়ে তাই আমরা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে এসেছি।
‘একটু আশ্রয়ের আশায় পালিয়ে এসেছি। দেখি কোথাও ঠাঁই পাওয়া যায় কিনা। না হলে খোলা মাঠে তাবু টাঙিয়ে দিন কাটাতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৭
আরডিজি/আইএসএ/টিসি