এর মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার লিংক রোড, টেকনাফ রোডের মিঠাছড়িতে ও উখিয়া বাজারে তিনটি চেকপোস্ট গত শুক্রবার থেকে চালু হয়েছে। মেরিন ড্রাইভ সড়কের চেকপোস্টটি সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে চালু করা হবে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মুখপাত্র অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খালেদ মাহমুদ বাংলানিউজকে জানান, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা উখিয়া-টেকনাফের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। ইতিমধ্যে অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় চলে যাচ্ছেন।
এসব চেকপোস্টে পুলিশ, আনসার, জেলা প্রশাসনের সমন্বিত টিম কাজ করছে। এছাড়া উখিয়া বাজারে রোববার থেকে একটি ত্রাণ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। যেন ব্যক্তিগতভাবে বা সংগঠন-প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে কেউ রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিতে না পারে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুসারে, আর্থিক সহায়তা দিতে আগ্রহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান-সংগঠনকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে খোলা ‘Humanitarian Assistance to the Myanmar Citizen Illegally Migrated (Rohinga) নামের সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে সেই অর্থ জমা দিতে হবে। অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের ‘দুর্যোগ ও ত্রাণ শাখায়’ আগ্রহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ত্রাণসামগ্রী জমা দিতে পারবেন।
ত্রাণ সহায়তার আড়ালে কেউ যেন কোন রাজনৈতিক বা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করতে না পারে, পাশাপাশি ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয় এবং সবাই যাতে ত্রাণ পায়, সেজন্য এই সিদ্ধান্ত।
গত মাসে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পুলিশ ক্যাম্পে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর সেখানে নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়েছে। নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ এবং ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার পর দলে দলে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে শুরু করেছেন রোহিঙ্গারা।
এর মধ্যে শনিবার জাতিসংঘ তথ্য দিয়েছে, বাংলাদেশে ইতোমধ্যে তিন লাখ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তবে স্থানীয়দের মতে, এ পর্যন্ত এসেছে ৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এর আগে বিভিন্ন সময়ে আরও প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা ঢুকেছে টেকনাফ ও উখিয়ায়।
এছাড়া সহিংসতা শুরুর পর মিয়ানমার প্রায় রোহিঙ্গাশূন্য হতে চলেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তথ্য এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৭
আরডিজি/আইএসএ/টিসি
‘ওপারে বাদশা ছিলাম, এপারে ফকির হলাম’
পাহাড়-বন দখল করে উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের বসতি
‘ওপারে বাদশা ছিলাম, এপারে ফকির হলাম’
মঙ্গলবারের মধ্যেই রোহিঙ্গাদের মায়ানমার ছাড়ার আলটিমেটাম
স্ত্রীদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে প্রতিরোধ যুদ্ধে স্বামীরা